‘শাড়ি ধরে টানাটানি, কেন্দ্রের কাছে টাকা চাইতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হয়েছি’, ভোট প্রচারে বেরিয়ে কেন্দ্র সরকারের বঞ্চনা নিয়ে বিস্ফোরক নুসরত

আর তিনদিন পরই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এর আগে জোরকদমে ভোট প্রচার চালাচ্ছে নানান রাজনৈতিক দলগুলি। এবার ভোট প্রচারে বেরিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে সুর চড়িয়ে তাঁর বিস্ফোরক দাবী, কেন্দ্রের কাছে টাকা চাইতে গেলে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে তাঁকে।
আজ, বুধবার বাঁকড়া হাইস্কুল মাঠে একটি প্রচার সভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল। সেখানেই যোগ দিয়েছিলেন নুসরত জাহান। তাঁর সঙ্গে একই মঞ্চে ছিলেন বসিরহাট তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, যুব সভাপতি শমীক রায় অধিকারী, বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের মহিলা সভাপতি অর্চনা মৃধা। পরে রোড শো করেন তারা।
কী বলেছেন নুসরত?
এই সভা থেকেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন নুসরত। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি নানান কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির তৎপরতাতেই রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে বলে দাবী করেন তিনি। তৃণমূলের সাংসদের কথায়, কেন্দ্রীয় সরকার যখন কিছু করে এঁটে উঠতে পারে না, তখন এজেন্সি দিয়ে চাপ তৈরির চেষ্টা করে।
এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবী করে নুসরত বলেন, “যতবার দিল্লির নেতাদের অফিসে যেতে হয়েছে, ধাক্কাধাক্কি করে যেতে হয়। কখনও মহিলাদের শাড়ি টানা হয়। তারা (কেন্দ্র) নিজেদের জোর সবরকমভাবে প্রকাশ করে ফেলেছে”।
বিজেপির কী প্রতিক্রিয়া?
নুসরতের এহেন মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় বিজেপি। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে হেনস্থার যে অভিযোগ নুসরত করেছেন, তার বিরোধিতা করে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা বিবেক সরকার। তিনি বলেন, “উনি কি দিল্লির রাজনীতিকে, বাংলার রাজনীতির সংস্কৃতি ভেবে ফেলছেন? দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সেখানে প্রত্যেককে সবকিছুর জন্য সাহায্য করা হয়। এত অসহযোগিতার পরেও দিল্লি থেকে সাধারণ মানুষের জন্য ঠিক টাকা পাঠানো হচ্ছে।’ বিজেপি নেতার বক্তব্য, এই সব কথা বলে সাংসদ যেন ভেবে না নেন যে বসিরহাটের মানুষজন কিছুই জানেন না”।