১৪৪ ধারা আবার কী? চল্লিশ জনের বেশি লোকজন নিয়ে বিডিও দফতরে ঢুকে গেলেন মমতার মন্ত্রী, বিধিভঙ্গের অভিযোগ পার্থর বিরুদ্ধে

আগামী মাসেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বাংলার মাটি এখন বেশ উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। চলছে মনোনয়ন পেশের কাজ। মনোনয়ন কেন্দ্র ও বিডিও অফিসের বাইরে ১৪৪ ধারা জারি করা রয়েছে। কিন্তু সেসবের কোনও তোয়াক্কাই করলেন না মমতার মন্ত্রী। নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠল সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের বিরুদ্ধে। একদল লোকজন নিয়ে তিনি ঢুকে গেলেন বিডিও অফিসে। এই প্রসঙ্গে ব্যারাকপুর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও রাজর্ষী চক্রবর্তী বলেন, “আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। আর উচ্চতর অফিসারদের জানাচ্ছি”।
আজ, বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ফলত, অন্যান্য দিনের তুলনায় এদিন উত্তেজনা একটু বেশিই রয়েছে। উত্তর ২৪ পরগণার ব্যারাকপুর এলাকা স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত নয় যদিও। মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে এই এলাকায় কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটে নি।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার কিছু পরে ব্যারাকপুরের বিডিও অফিসে যান সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তবে একা নন, এদিন তাঁর সঙ্গে ছিল প্রায় জনা চল্লিশেক তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। সরকারি দফতরে ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও এত লোকজন নিয়ে বিডিও অফিসে ভিড় জমান মন্ত্রী। কুশল বিনিময় সারেন কর্মীদের সঙ্গে। অনেক কর্মী আবার তাঁর পায়ে হাত দিয়েও প্রণাম করেন।
এদিন বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের পার্থ ভৌমিক বলে গেলেন, “কোনও অসুবিধা হলে নির্দ্বিধায় আপনারা ফোন করবেন, বলবেন”। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, মন্ত্রী এমন বিধিভঙ্গের কাজ করলেন কীভাবে? বিডিও অফিসে জারি ১৪৪ ধারা। সেখানে কোনও রকমের জমায়েত যাতে না হয়, সেই কারণে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। সেই সবকিছুকে উপেক্ষা করে মন্ত্রী ঢুকে যান বিডিও দফতরে।
এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। সিপিএম নেতা শম্ভু চক্রবর্তী বলেন, “এত লোক নিয়ে মন্ত্রী এসেছেন। এটা নির্বাচনী বিধিভঙ্গ। এমন কাজ তিনি করতে পারেন না। প্রশাসন কীভাবে সম্মতি দিচ্ছে, সেটাই বিষয়”।
অন্যদিকে, বারাকপুর এক নম্বর ব্লকের বিডিও রাজর্ষী চক্রবর্তী বলেন, “অবশ্যই সেটা করতে পারেন না। ১৪৪ ধারা জারি থাকলে তো তিনি সেটা করতে পারেন না। আমি বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি। আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি”।
তবে এই বিষয়ে মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের বক্তব্য, “সিপিএম-কংগ্রেস সকলের নেতার সঙ্গেই কথা হল। সবাইকে বলেছি, কোনও অসুবিধা হলে আমাকে জানাবেন। বাকি সব সুষ্ঠুভাবেই হচ্ছে”।