রাজ্য

বাড়ির বাইরে চলছে শেষকৃত্যের আয়োজন, ঘরের ভিতর বাড়ির লোকজন দেখল মেয়ে নড়ে উঠেছে, তুমুল শোরগোল এলাকায়

চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল তাও আবার ভর সন্ধ্যেবেলায়। বাড়ির বাইরে তখন কিশোরীর শেষকৃত্যের আয়োজন করছে পরিবার ও পাড়া-প্রতিবেশীরা। এমন সময় হঠাৎই কিশোরীকে কোলে করে নিয়ে বাইরে এলেন একজন, বলে উঠলেন, “এখনও বেঁচে রয়েছে, এখনও বেঁচে রয়েছে, তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে চলো”।

ওই ব্যক্তির এমন কথা শুনে যেন সমস্ত কিছু এক মুহূর্তের জন্য থেমে গেল। মানুষজন হতবাক। ততক্ষণে রাস্তায় সাইকেল, অটো, টোটো দাঁড়িয়ে পড়েছে। প্রবল হই হট্টগোল পড়ে যায় এলাকায়। এমন ঘটনা ঘটল দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের দেবেন্দ্রনগরে।

কী ঘটেছে গোটা ঘটনাটি?

জানা গিয়েছে, গতকাল, শনিবার দুপুরে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল থেকে দেবেন্দ্রনগরের বাসিন্দা উদয় সিংয়ের মেয়ে মধু সিংয়ের মৃত্যুর খবর আসে। মধুর বয়স ১৬ বছর। হাসপাতাল থেকে মৃত্যুর যে শংসাপত্র দেওয়া হয়, তাতে উল্লেখ ছিল ডেঙ্গুর কারণেই মৃত্যু হয়েছে মধুর। এদিন বিকেলের দিকে বাড়ি পৌঁছয় মধুর মৃতদেহ।

বাড়িতে তখন পরিবারের লোকজন, আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশীরা থিকথিক করছে। মাটিতে শোওয়ানো মধুর দেহ। সন্ধ্যের দিকে বাড়ির বাইরে দেহ সৎকারের ব্যবস্থা চলছে। রাখা রয়েছে ধূপ, মালা, অন্ত্যেষ্টির জিনিস। এমন সময়ে পরিবারের কেউ দেখেন যে মধু যেন খানিক নড়ে উঠল। তাদের মনে হয় মধুর দেহে তখনও প্রাণ রয়েছে। মেয়ে বেঁচে রয়েছে ভেবে শোরগোল পড়ে যায়।

কিশোরীর বাড়ির লোকজনদের মনে হয় সে বেঁচে রয়েছে। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে ছোটা হয় দক্ষিণ দমদম পুর হাসপাতালে। সকলেরই যেন তখম শ্বাস আটকে রয়েছে যে চিকিৎসক কী বলবেন। হাসপাতালের বাইরে ভিড়। কিশোরীর দেহ পরীক্ষা করেন হাসপাতালের চিকিৎসক।

কিন্তু কোনও আশার কথা শোনালেন না তিনি। বললেন, কিশোরীর দেহ সত্যিই নিথর। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের কোনও ভুল হয়নি। মৃত্যু হয়েছে মধুর। পরিবারের মনে খানিক হলেও অল্প সময়ের জন্য একটু আশার আলো জেগেছিল কিন্তু চিকিৎসকের কথার পর ফের নতুন করে যেন আরও এক শোক পেল মধুর পরিবার।

Back to top button
%d bloggers like this: