মতুয়ারা কৃষ্ণ কল্যাণীর পা ধুইয়ে মুছিয়ে দিচ্ছেন, ছবি ভাইরাল হতেই সাফাই দিলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিতর্কের মুখে তৃণমূল

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে এবার নতুন করে বিতর্কের মাঝে জড়ালেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। তৃণমূলের হয়ে ভোট প্রচার করছেন তিনি। গতকাল, সোমবার গিয়েছিলেন রায়গঞ্জের মহারাজপুর গ্রামে মতুয়াদের মন্দিরে। সেখানেই সামনে এল কৃষ্ণ কল্যাণীর একটি ছবি যা নিয়ে শুরু হল বিতর্ক।
সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মতুয়া সম্প্রদায়ের এক মানুষ কৃষ্ণ কল্যাণীর পা ধুয়ে দিয়ে গামছা দিয়ে পা মুছিয়ে দিচ্ছেন। আর সেই ছবিকে হাতিয়ার করেই এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগের তোপের অস্ত্রে শান দিচ্ছে বিরোধীরা। তাদের দাবী, এমনটা করে গোটা মতুয়া সম্প্রদায়কে অপমান করেছেন বিধায়ক।
এই ঘটনায় বিজেপি জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, গুরুদেবের পা ধুইয়ে দেওয়া ও সম্মান করা মতুয়াদের সমাজের রীতি। আর ঠিক এখানেই বিজেপি নেতার প্রশ্ন, “ওই ভদ্রলোক (কৃষ্ণ কল্যাণী) কি মতুয়া সম্প্রদায়ের কেউ যে তাঁর পা ধুইয়ে দিতে হবে? প্রকারান্তরে তিনি মতুয়াদের কাছ থেকে পা ধুইয়ে নিয়ে মতুয়া সমাজকে অপমানিত করলেন”। বিজেপির দাবী, তাদের দল মতুয়াদের সম্মান দেয়। তৃণমূল শুধুমাত্র মতুয়াদের ব্যবহার করে ও অপমান করার চেষ্টা করে।
এই ভিডিও ভাইরাল হতেই তা নিয়ে সাফাই দেন কৃষ্ণ কল্যাণী নিজে। তাঁর কথায়, তিনি কোনও ভাবেই মতুয়াদের অসম্মান বা অপমান করেন নি। তিনি জানান, মতুয়ারা নিজেদের সংস্কৃতি মেনে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছে। কৃষ্ণ কল্যাণী এও বলেন, সেই সময় তিনি হাতজোড় করেই বসেছিলেন।
বিজেপিকে পাল্টা শানিয়ে বিধায়কের বক্তব্য, “বিজেপি মতুয়াদের সংস্কৃতি বোঝে না। গুরুদেব কেউ কাউকে হৃদয় থেকে বানান”। কৃষ্ণ কল্যাণী এটাই বোঝাতে চাইলেন যে বিরোধীরা যাই বলুক না কেন, তিনি অন্তত কোনওভাবেই মতুয়াদের অসম্মানিত করেননি। তাঁর ব্যাখ্যা এই গোটা বিষয়টিই মতুয়াদের সংস্কৃতির অঙ্গ।
বলে রাখি, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি টিকিটে জিতে রায়গঞ্জের বিধায়ক হয়েছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। পরবর্তীতে তিনি তৃণমূলে যোগ দিলেও খাতায়-কলমে তিনি এখনও বিজেপির বিধায়ক। আবার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান তিনি যে পদে বিরোধী শিবিরের কাউকেই বসানো হয়। যদিও বিধানসভার বাইরে তিনি পুরোই তৃণমূল।