কেন প্রার্থী দেওয়া হয়েছে? প্রার্থীপদ তুলে নেওয়ার চাপ দিয়ে বেধড়ক মারধর, মাথা ফাটল সিপিএম নেতার, অভিযোগের কাঠগড়ায় তৃণমূল

শেষ হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব। আর এই মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজ্যের নানান প্রান্ত থেকে একাধিক অভিযোগ উঠে আসছে। নানান জায়গায় বিরোধীদের মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে তৃণমূলের তরফে। এবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের চাপ দিয়ে সিপিএম নেতাকে বেধড়ক মারধর করে মাথা ফাটানোর অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হরিহরপাড়ার হুমাইপুরে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থীপদ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয় হুমাইপুর সিপিএম অঞ্চল কমিটির সভাপতিকে। তাঁকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিহরপাড়ায়। সোমবার সন্ধ্যার পর মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার রামপাড়া এলাকায় কামরুজ্জামান শেখ নামে ওই সিপিএম নেতাকে বেধড়ক মারধর করা হয়।
জানা গিয়েছে, গতকাল, সোমবার হরিহরপাড়ার তাজপুর থেকে মহেশমারার দিকে যাচ্ছিলেন কামরুজ্জামান শেখ। সেই সময় হুমাইপুর অঞ্চলের রামপাড়া এলাকার কাছে তাঁর পথ আটকায় তৃণমূল কর্মীরা। রাস্তাতেই বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এর জেরে মাথা ফাটে কামরুজ্জামান শেখের।
তিনি জানান, “আমার বাড়ি তাজপুর। তাজপুর থেকে মহিষপাড়া যাচ্ছিলাম মোটর সাইকেলে। রামপাড়ায় তৃণমূলের পার্টি অফিস করেছে। আমাকে সেখানেই দাঁড় করিয়ে বেধড়ক মারল। লাঠি, বাঁশ দিয়ে মেরেছে। বলছে, কেন প্রার্থী হয়েছি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিতে শুরু করল। কোনওভাবে বেঁচে ফিরে এসেছি। আমি সিপিএম করি বলেই আমাকে এভাবে মারধর করা হল। আমি প্রার্থী নই। তবে আমাদের দলের হুমাইপুরে ৭ জনের প্রার্থীপদ তুলে নেওয়ার কথা বলে আমাকে মারা হয়”।
যদিও তৃণমূলের তরফে এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূল ব্লক সভাপতি আহাতাবুদ্দিন শেখের কথায়, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা।