রাজ্য

দিঘার সমুদ্রসৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিশ্বের সবথেকে বিষধর সাপ, একবার কামড়ালেই পক্ষাঘাত, কাজ করে না কোনও অ্যান্টি ভেনাম

মৃত্যুরই সমান। একবার কামড়ালেই সব শেষ। গোটা শরীর পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে। প্রথমে কিডনি, তারপর একে একে হার্ট সবকিছুই বিকল হতে থাকে। আর এমন সাপেরই দেখা মিলল এবার দিঘাতে। এই সাপ কামড়ালে কোনও অ্যান্টি ভেনামও কাজ করে না বলে জানালেন চিকিৎসকরা।

কেমন দেখতে এই সাপ?

এই সাপের নাম ইয়েলো বেলি যার বৈজ্ঞানিক নাম পেলামিস প্ল্যাটুরাস। এই সাপ সাইজে আড়াই থেকে তিন ফুট মতো। পেটের কাছে রঙ হলুদ। দেখতে খানিকটা কুচে মাছের মতো। এই সাপের আসল বৈশিষ্ট্য এর লেজ। এর লেজের দিকটা নৌকোর দাঁড়ের মতো চ্যাপ্টা। মূলত আরব সাগরেই থাকে এই সাপ। তবে এবার এর দেখা মিলল দিঘার সমুদ্রসৈকতে।

কী ক্ষতি করে এই সাপ?

এমন বিষধর সাপ দিঘায় কীভাবে এল, তা ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছেন না সর্পবিশেষজ্ঞরা।  উপকূলবর্তী এলাকাগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। চিকিৎসক দয়ালবন্ধু মজুমদার জানিয়েছেন, এই সাপ ভয়ঙ্কর। এই বিষ হল মায়োটক্সিক ভেনম। এই বিষ পেশী অকেজো করে দেয়। মায়োগ্লোবিনুরিয়া হয়। প্রথমে কিডনি থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে বিকল হতে থাকে হার্ট।  কাজ করে না এভিএস। এই সাপ কামড়ালে চিকিৎসকরা অসহায় হয়ে পড়েন।  উপসর্গভিত্তিক কিছু চিকিৎসা সম্ভব এই সাপ কামড়ালে।

এই সাপ নিয়ে কী মত গবেষকের?

গাঙ্গেয় উপকূলের সামুদ্রিক সাপ নিয়ে অনেকদিন ধরেই গবেষণা করছেন আন্নামালাই বিশ্ববিদ‌্যালয়ের গবেষক অন্বেষণ পাত্র। তিনি এই সাপ সম্পর্কে বলেন, “ভারতে ২৪ রকমের সামুদ্রিক সাপ পাওয়া যায়। দিঘায় পাওয়া ইয়েলো বেলি এর মধ্যে সবচেয়ে বিষাক্ত। তাই সাবধান হওয়াই বাঞ্ছনীয়। আসলে, কালাচ, কেউটে, গোখরো, চন্দ্রবোড়ার দংশনে রোগীকে এভিএস দেওয়া হয়। দংশনের একশো মিনিটের মধ্যে একশো মিলি এভিএস পেলে বেঁচে যায় রোগী”।

কী জানাচ্ছেন সর্পবিশেষজ্ঞ?

সর্পবিশেষজ্ঞ বিশাল সাঁতরার কথায়, “এই সাপ মূলত আরব সাগরের বাসিন্দা। বঙ্গোপসাগরে সচরাচর দেখা মেলে না। তবে মাঝেমধ্যে চলে আসে এদিকে। চরিত্রগত কারণের সামুদ্রিক সাপের বিষ বেশি। বহু মৎস‌্যজীবীর প্রাণ কেড়েছে এই সাপ”। তবে বেশিরভাগ মৃত্যুর খবরই রিপোর্টেড হয় না বলে জানালেন তিনি।

Back to top button
%d bloggers like this: