রাজ্য

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শক্তি সঞ্চয় বিজেপির, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ ১৭০টি পরিবারের, তপন-আলিপুরদুয়ারে বড় ভাঙন তৃণমূলে

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর এমন আবহে এবার শক্তিক্ষয় হল তৃণমূলের তপনের দুটি এলাকা থেকে বাম ও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিল ১৭০টি পরিবার। গতকাল, রবিবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের গুড়াইল গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামপুর ও গুড়াইল বুথে এক যোগদান সভার আয়োজন করেছিল বিজেপি।

সেই যোগদান সভাতেই তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেয় গুড়াইলের ৭০টি আদিবাসী ও শ্যামপুরের প্রায় ১০০টি পরিবার। এই দলবদলকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তপনের বিজেপি বিধায়ক বুধরাই টুডু ও বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী। এছাড়াও অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্বরাও উপস্থিত ছিলেন এদিন।

এলাকার অনুন্নয়নের কারণেই এ দিন বাম ও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন গ্রামবাসীরা। এদিন গুড়াইল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান রামচন্দ্র মুর্মুর ছেলে রাজেন মুর্মুর নেতৃত্বে এই যোগদান সভার আয়োজন করা হয়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তপনে বিজেপিতে যোগদানের ফলে দলের সাংগঠনিক ক্ষমতা অনেকটাই বাড়ল বলে দাবী জেলা নেতৃত্বদের।

এই যোগদান প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি সুভাষ বলেন, “কয়েকশো লোক নয়। গুটি কয়েক লোক হয়তো বিজেপিতে যোগদান করেছে। তাও যারা যোগদান করেছে তাঁরা তৃণমূলের নয়, বামফ্রন্টের হতে পারে। তৃণমূলের কেউ বিজেপিতে যোগদান করেনি”।

শুধু তপনই নয়, আলিপুরদুয়ারের ২ নম্বর ব্লকের তুরতুরি গ্রাম পঞ্চায়েতেও তৃণমূলে ভাঙন ঘটে। গতকাল, রবিবার ওই পঞ্চায়েত এলাকা থেকে ৬০টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে যোগ দেয় বিজেপিতে। কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ কুমার ওঁরাওয়ের হাট থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেন সদ্য যোগদানকারীরা।  

বিজেপি বিধায়ক মনোজ কুমার ওঁরাওয়ের দাবী, তৃণমূলের দুর্নীতি ও অনুন্নয়নের কারণেই তৃণমূল ছেড়ে এত পরিবার যোগ দিয়েছে বিজেপিতে। যদিও তৃণমূল জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইকের দাবী, এই দলবদলের কারণে তাদের কোনও প্রভাব পড়বে না।

Back to top button
%d bloggers like this: