রাজ্য

২১শে জুলাইয়ের আগেই বড়সড় ভাঙন শাসক শিবিরে! বিজেপিতে যোগ দিলেন একাধিক তৃণমূল কর্মী সমর্থক

একদিকে যখন ২১শে জুলাইকে সামনে রেখে তৃণমূল আসন্ন পঞ্চায়েত ও ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে কোমর বাঁধছে, ঠিক সেই সময়ই শুভেন্দু অধিকারীর এলাকার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন একাধিক কর্মী-সমর্থক। একের পর এক বিজেপির শীর্ষ নেতা যখন গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলে ভিড়ছেন, সেই সময় একসঙ্গে এত সংখ্যক তৃণমূল কর্মী-সমর্থকের বিজেপিতে যোগ দেওয়া যে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলাই বাহুল্য।

জানা গিয়েছে, গতকাল, রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর-১ দক্ষিণ মন্ডলের উদ্যোগে বিজেপি একটি কার্যকরী সভার আয়োজন করেছিল। আর এই সভাতেই বিজেপিতে যোগদান করেন প্রায় ৩০ জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি অমলেন্দু বেরার হাত ধরেই এত সংখ্যক কর্মী-সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করেছেন বলে জানা গিয়েছে। পটাশপুর-১ দক্ষিণ মন্ডলের বিজেপি নেতৃত্ব তাদের সকলের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে তাদের দলে স্বাগত জানিয়েছেন।

দীর্ঘদিন ধরেই অমলেন্দু বেরা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি পদে নিযুক্ত ছিলেন। আর তার হাত ধরেই ৩০ জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক যোগ দিলেন গেরুয়া শিবিরে।তবে তিনি তৃণমূল ছেড়ে কেন বিজেপিতে যোগ দিলেন তা অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু বলেননি এই প্রবীণ রাজনীতিক। তাঁর কথায়, “সময় এলে তৃণমূল ও বিজেপি দুজনেই বুঝে যাবে, কেন দল ছাড়লাম এবং কেনই বা বিজেপিতে যোগদান করলাম”।

তবে বিজেপির দাবী, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর এরই মধ্যে নানান ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি ও কাটমানিতে নাম জড়িয়েছে শাসকদলের। এই কারণেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা দল ছাড়ছেন এবং বিজেপিতে আসছেন।

যদিও দুর্নীতির অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল ব্লক সভাপতি শেখ আব্দুল আহাল্লাদ আলি। তিনি বলেন, “এভাবে কেউ বা কারা তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার চেস্টা করলে তা পারবে না। এত অভিযোগ তোলার পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক প্রকল্পের সুবিধায় খুশি হয়ে জনগণ তাঁর পাশেই আছে এবং আগামী দিনেও থাকবে”।

Back to top button
%d bloggers like this: