‘তৃণমূল ছাগল কিনবে কিন্তু পাগল কিনবে না’, ফের শওকতের আক্রমণের মুখে নওশাদ, ‘বায়রন কী তবে ছাগল’, পাল্টা কটাক্ষ বিরোধীদের

ফের একবার ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার কটাক্ষের মুখে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই গোটা রাজ্যে বেশ হইচই শুরু হয়। এমন আবহেই নওশাদ দাবী করেছিলেন যে তৃণমূলও তাঁকে মোটা টাকা দিয়ে কেনার চেষ্টা করেছিল। এবার তাঁর সেই মন্তব্য নিয়ে আক্রমণ শানালেন শওকত মোল্লা।
শওকত মোল্লা বলেন, “মাসে এক দু’বার তিনি ভাঙড়ে আসেন। ঘুরে চলে যান। হঠাৎ তিনি বলছেন, তাঁকে কেনার জন্য মোটা টাকার অফার দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় কবে তাকে অফার দেওয়া হয়েছিল? তখন তিনি বলেন, যখন বিধায়ক হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন সেই সময়ে। আমাদের এত অভাব হয়ে গেল চার পয়সার নকুলদানাকে আমাদের কিনতে হবে। এর থেকে বড় মিথ্যাবাদী, ধাপ্পাবাজ আর কেউ হতে পারে না। তৃণমূলের এত অভাব হয়নি। তৃণমূল ছাগল কিনতে পারে কিন্তু কোন পাগলকে কিনবে না”।
শওকতের কথায়, নওশাদের টিআরপি বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “ভাঙড়ের মানুষ সব বুঝে গিয়েছে, তারা তৃণমূলের সঙ্গে আছেন”।
শওকত মোল্লাকে ভাঙড়ের সংগঠনের দায়িত্ব দিয়েছে তৃণমূল। আরাবুল ইসলাম ও কাইজার আহমেদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটানোর চেষ্টা করেন সুব্রত বক্সি। এরপরই শওকতকে ভাঙড়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
যেদিন নওশাদ সিদ্দিকি বিধানসভার সামনে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেছিলেন যে তৃণমূল তাঁকে দলে নেওয়ার জন্য টাকা অফার করেছিল, সেদিন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, নওশাদ নাম আর টাকার অঙ্কটা বলে দিক। সেই সময় পাল্টা জবাব দিয়ে নওশাদ বলেছিলেন, তিনি নাম বললে কুণালের চাকরি চলে যেতে পারে।
এদিকে শওকতের এহেন মন্তব্য নিয়ে পাল্টা তোপ দাগতে ছাড়ে নি সিপিএমও। দলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ী এই বিষয়ে বলেন, “শওকত তারমানে নিজেই স্বীকার করে নিলেন যে বাইরন বিশ্বাস ছাগল”।