অনুব্রতর বিরুদ্ধে খু’নের চেষ্টার অভিযোগ করেছিলেন শিবঠাকুর, দুবরাজপুর থেকে জিতলেন তাঁর স্ত্রী

অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে খু’নের চেষ্টার অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তাঁর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই আসানসোল সংশোধনাগার থেকে কেষ্টকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দুবরাজপুর। সেখানে পুলিশি হেফাজতে ছিলেন তিনি। সেই অভিযোগকারী শিবঠাকুর মণ্ডলের স্ত্রী লিপিকা মণ্ডল এবারে দুবরাজপুরের বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই এলাকা থেকেই জিতলেন এই তৃণমূল প্রার্থী।
কী অভিযোগ করেছিলেন শিবঠাকুর মণ্ডল?
তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান শিবঠাকুর মণ্ডলের অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিল দুবরাজপুর থানার পুলিশ। এই মামলায় বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল দুবরাজপুর থানা। শিবঠাকুর মণ্ডলের অভিযোগ ছিল, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূল কার্যালয়ের ভিতরে তাঁর গলা টিপে ধরেছিলেন অনুব্রত।
জেতার পর কী জানালেন লিপিকা?
এদিন জিতে লিপিকা বললেন, “সকলে আমাকে ভালবাসেন। তাঁরা দু’ হাত উজাড় করে ভোট দিয়েছেন। আমি মানুষের পাশে থেকেছি। আমি আরও বেশি করে মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। আমার জন্য যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে খুব ভাল লাগছে”।
শিবঠাকুরের স্ত্রী পঞ্চায়েত তৃণমূলের থেকে টিকিট পাওয়ার পরই কটাক্ষ করতে থাকে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য ছিল, অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাওয়া রুখতেই শিবঠাকুর মণ্ডল ওই অভিযোগ এনেছিল কেষ্টর বিরুদ্ধে। আর তারই পুরস্কার হল তাঁর স্ত্রীকে পঞ্চায়েতের টিকিট।
এই বিষয়ে কী বক্তব্য লিপিকার?
শিবঠাকুরের স্ত্রীয়ের কথায়, “এসব কথা একেবারেই ভুল। আমি আজ তৃণমূল করছি না। আমি কলেজ লাইফ থেকে তৃণমূল করি। আগেও আমার ভোটে লড়ার সুযোগ এসেছিল। আমি দাঁড়ায়নি। তবে এবার মানুষ চেয়েছেন, আমি লড়ি। তাই লড়েছি”।