ফের মিড ডে মিলের খিচুড়িতে মিলল বিষাক্ত সাপ, খাবার খেয়ে অসুস্থ ২ শিশু, আতঙ্ক ঘাটালে

মিড ডে মিলের রান্না নিয়ে এও আগেও নানান অভিযোগ এসেছে। এবার ফের ঘটল তেমনই এক ঘটনা। মিড ডে মিলের রান্নার মধ্যে মিলল বিষাক্ত সাপ। খাবার বিলির পর মেলে সাপের অস্তিত্ব। না জেনেই সেই খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে ২ শিশু ও এক মহিলা। দাসপুরের সোনাখালি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাদের। ঘটনাটি ঘটেছে ঘাটালের এক অঙ্গনপওয়াড়ি কেন্দ্রে। এই ঘটনার জেরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। ঘটনার তদন্তে নেমেছে প্রশাসন।
ঘাটাল ২ নং ব্লক ভুঁইঞারা আইসিডিএস কেন্দ্র। সেখানে প্রতিদিন শিশু ও প্রসূতি মায়েদের জন্য খাবার রান্না হয়। আজ, শনিবারও মেনুতে ছিল খিচুড়ি। তা রান্না হওয়ার পর বিলিও করা হয়। অনেকেই টিফিন বক্সে ভরে বাড়িতে নিয়ে আসে সেই খাবার।
কিন্তু এক বাচ্চা সাইকেল নিয়ে বাড়ি ফেরার সময়ে আচমকা সাইকেল থেকে পড়ে যায়। টিফিন বক্স খুলে খাবার পড়ে যায়। আর সেখান থেকেই বেরিয়ে আসেন প্রায় দেড় ফুট লম্বা শাঁখামুটি সাপ। ততক্ষণে সেই খিচুড়ি খেয়ে ফেলেছেন অনেকেই। গোটা এলাকায় এই নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। গ্রাম বাংলায় এই সাপকে বেশ বিষাক্ত বলেই মনে করা হয়।
তড়িঘড়ি আইসিডিএস কেন্দ্রে খবর পাঠানো হয়। সকলের বাড়ি বাড়ি যান দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষিকা। তিনি নিজে খিচুড়ি খেয়ে পরীক্ষা করেন, তা কতটা বিষাক্ত হয়েছে। আইসিডিএস কেন্দ্রের রাঁধুনি জানান যে অন্যান্যদিনের মতোই তিনি রান্নাঘর, সমস্ত বাসনপত্র পরিষ্কার করে তবেই রান্না করেছিলেন। সাপটি কীভাবে খাবারে পড়ল, তা তিনি জানেন না। তাঁর অনুমান, রান্নার সময় অজান্তেই সাপটি হাঁড়িতে পড়ে যায়। আর খাবারের সঙ্গে তা সিদ্ধ হয়ে গিয়েছে।
এই ঘটনার খবর পেয়ে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যান ঘাটাল ২ নং ব্লকের বিডিও অনির্বাণ সাহু, আইসিডিএসের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক অভিমন্যু মণ্ডল, মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, মেদিনীপুর থেকে আসেন অতিরিক্ত জেলাশাসক। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান তারা।
অন্যদিকে, এলাকাবাসীদের অভিযোগ, এই ১০৮ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি কার্যত জঞ্জালের মধ্যে অবস্থিত। সেখানকার ঝোপঝাড় থেকেই সাপটি রান্নাঘরে ঢুকে হয়ত খাবারে পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনার জেরে সকলেই বেশ আতঙ্কিত।