রাজ্য

বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে বেরিয়ে জোড়াফুলের নামে স্লোগান, হঠাৎ কেন এমন করলেন মমতার একসময়ের ছায়াসঙ্গী সোনালি? তুমুল বিতর্ক

তৃণমূলে এখন আর নেই তিনি। এখন উঠতে বসতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধোনা করতে শোনা যায় তাঁকে। কিন্তু এখনও তৃণমূলের হয়ে প্রচার করার অভ্যেস যেন ছাড়তে পারেন নি সোনালি গুহ। আর হবে নাই বা কেন, মমতার একসময়ের ছায়াসঙ্গী বলে কথা। কিন্তু তা বলে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূলের নামে স্লোগান দেবেন? এমনটাও হয়?

ঠিক কী ঘটেছিল?

আজ, শনিবার নদিয়ার তেহট্ট থানার বেতাই করুইগাছি বকুলতলা এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য০ বিজেপির হয়ে ভোটপ্রচারে বেরিয়েছিলেন সোনালি গুহ। তিনি বলেন, “তৃণমূল বলছে টিকিট না পেয়ে আমি কান্নাকাটি করছি। তাই ওদের দেখালাম এরকম ব্যাপার নেই। আমি দলের হয়ে প্রচার করছি”।

এরপরই পঞ্চায়েতে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন সোনালি। আর সেখানেই স্লোগান দিতে গিয়ে বিপত্তি ঘটালেন সোনালি। তাঁর মুখে তৃণমূলের স্লোগান শোনা গেল। স্লোগান দিতে শুরু করার পরই সোনালি বলেন, পদ্মফুলে ভোট দিন। এতদূর ঠিকই ছিল, বিপত্তি ঘটল এর ঠিক পরই।

প্রথমবার স্লোগান দেওয়ার পর দ্বিতীয়বার সোনালি যখন স্লোগান দেন, তিনি বলেন, “জোড়াফুলে ভোট দিন”। তবে মুহূর্তের মধ্যে সামলে নিয়ে ফের বলেন, “পদ্মফুলে ভোট দিন”। তাঁর এই স্লোগান নিয়েই শুরু হয়েছে হইচই। তিনি যে মুখ ফসকেই এমন বলে ফেলেছেন, তা বেশ স্পষ্ট। কিন্তু তা নিয়ে চর্চা কম হয়নি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক পটভূমিতে সোনালি গুহ নামটাও বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। মমতার ছায়াসঙ্গী বলা হত তাঁকে। তৃণমূল তৈরি হওয়ার শুরুর থেকেই ‘দিদি’র সঙ্গে ছিলেন সোনালি। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ঘটে ছন্দপতন। সোনালিকে টিকিট দেওয়া হয়নি। আর এর জেরে অভিমান করে রাতারাতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি।

তব বিজেপিতে যোগ দিয়েও সেভাবে ভাগ্যের শিকে ছেঁড়ে নি তাঁর। সেভাবে রাজনীতিতে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি তাঁকে। বেশ কিছু মাস পর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য ক্ষমা চেয়ে মমতাকে চিঠি সেন সোনালি। কিন্তু লাভের লাভ হয়নি। তৃণমূলের তরফে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি সোনালির সঙ্গে। ফলে রাজনীতি থেকে দূরেই সরে গিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার ফের বিজেপির হয়ে ভোটের প্রচারে নেমেছেন সোনালি গুহ।

Back to top button
%d bloggers like this: