রাজ্য

হঠাৎ দেখা! পার্থ রয়েছে শুনেই বিচলিত, বৈশাখীকে ফেলেই লকআপে পার্থর সঙ্গে দেখা করতে ছুটলেন শোভন

দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বন্ধু তারা। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক হিসেবে দলের জন্য লড়েছেন। কিন্তু আজ দু’জনেই রাজনীতি ও দল থেকে অনেকটা দূরে। একজন নিয়োগ দুর্নীতির দায়ে জেলবন্দি আর অন্যজন দল পাল্টে অন্য দলে গেলেও সেখানে স্থায়ী হন নি। ফের অনেকদিন পর শনিবার বারবেলায় হঠাৎ দেখা হল দু’জনের। মুখোমুখি পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে ফারাক একজন গারদের এপারে আর অন্যজন ওপারে।

বেহালা পূর্ব আর বেহালা পশ্চিম। কলকাতার এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন দু’জন। বেহালা পূর্বে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বেহালা পশ্চিমে শোভন চট্টোপাধ্যায়। দু’জনেই ছিলেন তৃণমূলের বিধায়ক। দলটাও দু’জনে একসঙ্গেই করেছেন। সুসম্পর্ক ছিল উভয়ের মধ্যেই।

আজ, শনিবার বিবাহবিচ্ছেদ মামলায় শোভন চট্টোপাধ্যায় গিয়েছিলেন আলিপুর জেলে। সঙ্গে ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেইসময় তিনি জানতে পারেন আলিপুর আদালতের লকআপে রয়েছেন পার্থ। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ শুনানি পার্থর ছিল। তাই তাঁকে সকালবেলা প্রেসিডেন্সি জেল থেকে এনে আদালতের লকআপে রাখা হয়েছিল।

পার্থ আদালতের লকআপে আছে শুনেই তিনি পার্থবাবুর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। বৈশাখীকে বাইরে বসিয়ে রেখেই নিজের দীর্ঘদিনের সহকর্মীর সঙ্গে দেখা করতে ছোটেন তিনি। তবে লকআপে গিয়ে দেখা করার অনুমতি পাননি শোভন। দূর থেকেই দেখেন গারদের ওপারে রয়েছেন তাঁর পুরনো দিনের রাজনৈতিক বন্ধু। হাত নেড়ে পার্থকে জিজ্ঞেস করেন, “কেমন আছো”? ঘাড় নেড়ে উত্তর দেন পার্থ।

এদিন সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শোভন বলেন, “উনি পরিস্থিতির শিকার। বিচার চলছে। তবে সাধারণ মানুষও বিচারপ্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চান। যতটুকু দেখা যায়, সেটাই কি সব? আমাকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। এতদিন একসঙ্গে ছিলাম। তাই দেখা করে গেলাম”।

Back to top button
%d bloggers like this: