নবজোয়ারের উপহার! অভিষেক হবে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি, নিজের পদ ছাড়তে রাজি সুব্রত বক্সী, ‘এসব কথা কেন উঠছে’, থামিয়ে দিলেন মমতা

গতকাল, শনিবার কালীঘাটে ছিল তৃণমূলের দলীয় বৈঠক। এই বৈঠকে প্রথমেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে বেশ কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। তৃণমূলের নবজোয়ারে যে মানুষের ঢল দেখা গিয়েছে, ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় পড়ে থাকার কষ্ট তা উল্লেখ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করলেন তিনি। আবেগতাড়িত হয়ে এক উপহারও দিতে চাইলেন তিনি তৃণমূল নেতাকে।
এদিনের এই বৈঠকে সুব্রত বক্সী উল্লেখ করেন যে বাংলাকে হাতের তালুর মতো চিনে গিয়েছে অভিষেক। তাঁর কথায়, বাংলার মানুষ গ্রহণও করেছে তাঁকে। এদিন সুব্রত বক্সী বলেন, “আমি এক সময়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং রাজ্য সভাপতি একসঙ্গে ছিলাম। আজ সময় এসেছে, আমার প্রস্তাব, অভিষেককে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি রাজ্য সভাপতিও করা হোক”।
তিনি একথা বলার পরই সঙ্গে সঙ্গে তাঁর হাত ধরে নেন তাঁর বাঁদিকে সসে থাকা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হেসে তিনি বলেন, “কোনও প্রশ্নই ওঠে না, তুমিই থাকবে সভাপতি”।
এরপর সুব্রত বলেন, “নেত্রী বিবেচনা করুন, ও সভাপতি হোক, আমি চেয়ারম্যান হয়ে সবরকম সাহায্য করব। তাছাড়া আমি নিয়মিত রাজ্যসভাতেও যেতে পারি না”। ফের অভিষেক বলেন, “এসব কথা আসছে কেন? তুমি যা আছো, তাই থাকবে”।
অবশেষে এই নিয়ে মুখ খোলেন মমতা নিজে। বলেন, “বক্সীদা, এসব কথা আর শুনছি না। পঞ্চায়েতের মনোনয়ন-পর্ব হয়ে গিয়েছে। আপনি পরবর্তী অ্যাকশনের কথা বলুন”। এখানেই এই পর্বের শেষ হয়।
এদিন বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে সুব্রত বক্সী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চার-পাঁচটি প্রজন্ম তৈরি করে দিয়ে গিয়েছেন। উনি দীর্ঘায়ু হোন। কিন্তু আমরা না থাকলেও দল যোগ্য হাতে থাকবে। অভিষেকের নবজোয়ার যাত্রা তা প্রমাণ করে দিয়েছে। ওকে আমি অকুণ্ঠ শুভেচ্ছা এবং আশীর্বাদ জানাই”।
এদিনের এই বৈঠক থেকে মমতাও বেশ প্রশংসা করেন অভিষেকের। বলেন, “গোটা দল একটা পরিবারের মতো এই নবজোয়ার যাত্রা সফল করেছে। দলের গোটা টিমকে অভিনন্দন”।