‘অভিষেকের গ্রেফতারি এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র’, বিস্ফোরক দাবী সুকান্তর, কীসের ভিত্তিতে এমন নিশ্চয়তা? জল্পনা তুঙ্গে

তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিরোধীদের তোপ দাগা কোনও নতুন ঘটনা নয়। রাজনীতিতে এমন ঘটনা স্বাভাবিক বিষয়। অভিষেকও বিরোধীদের আক্রমণ শানাতে কোনও কসুর করেন না। এবার অভিষেকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবী করে এক ভবিষ্যৎবাণী করে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বললেন, অভিষেকের গ্রেফতারি শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু এমন দাবী কেন করলেন তিনি, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
‘তৃণমূলের নবজোয়ার’ কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেন সুকান্ত মজুমদার। সেই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, “বিজেপিকে নকল করার চেষ্টা করছেন। বিজেপির মতো করে সংগঠন সাজানোর চেষ্টা করছেন। তাঁবু খাটিয়ে কাদের সঙ্গে রাত্রিবেলা কাদের সঙ্গে মিটিং করছেন আমরা সব জানি। আমাদের কাছে সব খবর আসছে। কিন্ত ওইভাবে উনি বাঁচতে পারবেন না। উনি যদি ভেবে থাকেন গ্রেপ্তার হবেন আর লোকেরা রাস্তায় নামবে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি গণ্ডগোল হবে, তবে তা হবে না। গ্রেপ্তার হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। যেভাবে ওঁর স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে। মিডিয়া বলছে থাইল্যান্ডে, মালয়েশিয়ায় টাকা গিয়েছে। যদি টাকা গিয়ে থাকে সে তো গ্রেফতার হবেই”।
সুকান্তর কথায়, “সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা হচ্ছে। কারণ মহাসচিব ছিলেন না পোস্ট একটাই বাকি সব ল্যাম্পপোস্ট। দেড়খানা পোস্ট এখন হয়েছে। এই দেড়খানা পোস্ট না জানা অবস্থায় এতকিছু ঘটে গেছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এত কিছু করে ফেলেছে এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। মানুষকে বোকা পেয়েছেন নাকি”?
বিজেপির রাজ্য সভাপতি প্রশ্ন তোলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষকে যা বোঝাবেন মানুষ তাই বুঝে নেবেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এত লোককে চাকরি দিয়ে দিলেন এত কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেলেন ঘুষ নিয়ে সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন না, এটা সম্ভব? এটাও বিশ্বাস করতে হবে”? কিন্তু সুকান্ত এত নিশ্চিত হয়ে এই কথা কীভাবে বললেন, তা নিয়ে তো প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, শহিদ মিনারের সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন সারদা মামলার সময় ধৃত মদন মিত্র, কুণাল ঘোষদের নাকি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা চাপ দিয়েছিলেন যাতে তারা অভিষেকের নাম বলে। আবার নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষও একই দাবী করেছেন।
কুন্তলের দাবী, অভিষেকের নাম নেওয়ার জন্য নাকি ইডি-সিবিআই চপ দিচ্ছে। এই নিয়ে চিঠি লিখে অভিযোগও করেছেন তিনি। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন যে অভিষেক ও কুন্তলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা যেতে পারে। সেই মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরে গেলেও তা এখনও কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই সুকান্ত এহেন দাবী করলেন কী না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।