‘পরপর হারছিলেন, পার্টিটা প্রায় উঠে গিয়েছিল, কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেন এবার’, কর্ণাটকে কংগ্রেসের জয় প্রসঙ্গে রাহুলের উদ্দেশে বললেন দিলীপ

কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভ করেছে কংগ্রেস। এবার সেই ফলাফলের প্রসঙ্গ টেনে রাহুল গান্ধীকে নিয়ে মন্তব্য করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, কর্ণাটকে জয় পাওয়ায় কংগ্রেস কিছুটা ঘুরে দাঁড়াল। তা নাহলে পরপর রাজ্যে হারছিল তারা।
আজ, রবিবার সকালে খড়গপুরে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে একটি চায়ের দোকানে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে চা চক্রে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই নানান ইস্যু নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন তিনি। কর্ণাটকের ফলাফল নিয়ে তিনি বলেন, “গনতন্ত্রে হার জিত আছে। বিগত অনেক বিধানসভা নির্বাচনেই আমরা জিতেছি। দু-একটা রাজ্যে বিরোধীরা ক্ষমতায় এসেছে। কংগ্রেস পার্টিটাই প্রায় উঠে গিয়েছিল আগের কয়েকটি বিধানসভা নির্বাচনের পরে। এবার একটু অক্সিজেন পেল। রাহুল গান্ধীও পরপর হারছিলেন সব জায়গায়। এবার কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেন”।
কর্ণাটকের ফলাফলের পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন যে বিজেপিকে হারাতে কংগ্রেসের বিকল্প নেই। এই প্রসঙ্গে মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, “উনি আগে রাজ্যে নিজের দলটাকে সামলান। একের পর এক কর্মী দলত্যাগ করে যাচ্ছেন। গোটা দেশ নিয়ে উনি পরে ভাববেন। গোটা দেশ নরেন্দ্র মোদীর পাশে আছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদীজিকেই চায় দেশ”।
অন্যদিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, মমতাকে আক্রমণ করে অধীর চৌধুরী নিজেই বিজেপিকে শক্তিশালী করছে। এই প্রসঙ্গে দিলীপের মত, “ওদের মুখে এই কথা মানায় না। নিজেদের দলটা পুরো মাথা পর্যন্ত দুর্নীতিতে ডুবে। একের পর এক পঞ্চায়েত প্রধান সদস্য দল ছাড়ছেন। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। আগে নিজের দলকে সামলাক। নব জোয়ার কর্মসূচিতে বেরিয়ে কিরকম ঝামেলার সৃষ্টি হচ্ছে সবাই দেখছেন”।
কর্ণাটকের ফলাফলের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সে রাজ্যের মানুষকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছেন। সেই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বলেন, “এটা নিয়ে আমার বিশেষ কিছু বলার নেই। হয়ত নিজে দেশের মধ্যে বড় নেত্রী হতে চাইছেন। তাই এরকম টুইট করেছেন। তবে লাভ হবে না। ২০২৪ সালেও আবার মোদীজি দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন”।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “১৫ দিন আগে অমিত শাহ এসে বলেছিলেন দিদির সরকার ফুস হয়ে যাবে৷ পনেরো দিনের মধ্যেই বিধির বিধান পেয়ে গিয়েছে বিজেপি। এদের পতন অনিবার্য। এদের পতন কেউ আটকাতে পারবে না৷ ২০২৪ সালে এদের বিসর্জন হবে”৷
এই নিয়ে দিলীপের কটাক্ষ, “২০১৯ সালেও গোটা দেশে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন ওনার দলনেত্রী। সব দলকে এক করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ফল কি হল? রাজ্যে ওদের এক ডজন আসন কমল। আর দেশ থেকে কিছু পার্টি উঠেই গেল। ২০২৪ সালেও ঠিক তাই হবে”।