‘আরও দু’টো বন্দে ভারত পাওয়ার কথা বাংলার, কিন্তু এবার রেল ভাববে’, বন্দে ভারতে লাগাতার হামলার ঘটনায় সরব সুকান্ত মজুমদার

আজ, বুধবার সকালে রাজভবনে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের (C V Anand Bose) সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও আবাস যোজনায় দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যপালকে অভিযোগ করেন তারা। রাজ্যপালের শপথগ্রহণের পর এই প্রথম তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান বিরোধী দলনেতা ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখার করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত বলেন, “এ রাজ্যের সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি আবাস যোজনা থেকে স্কুল-সার্ভিস কমিশনে যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে তা জানিয়েছি। সঙ্গে এও বলেছি, এলাকার বিডিওরা নিপীড়িত-বঞ্চিত মানুষের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। তাঁদেরকে ঘেরাও করা হচ্ছে এইসব কিছুই তাঁর সামনে তুলে ধরেছি”।
বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথায়, “রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস দীর্ঘ সময় প্রশাসনিক পদে আসীন ছিলেন। ফলত তিনি জানেন রাজ্যের ঠিক কোথায় কী ঘটছে। বোমাচার থেকে শুরু করে গণধর্ষণ সমস্ত বিষয়ে নজর রাখছেন”।
এরপর বন্দে ভারতে পাথর ছোড়া প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “সিএএ পাশ হওয়ার সময় এনআরসি-র ভয় দেখিয়ে ট্রেন পোড়ানো হয়েছিল। রেলের অনুষ্ঠানে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে সাধারণ মানুষ ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি দিয়েছেন। তারই প্রতিশোধ হিসাবে হয়ত ট্রেন ভাঙা হচ্ছে। আরও দু’টো বন্দে ভারত আমাদের পাওয়ার কথা ছিল। তাই এই ধরনের ঘটনা যদি ঘটতে থাকে তাহলে রেলও হয়ত ভাববে”।
তাঁর আরও সংযোজন, “বিজেপি বিধায়ক বা সাংসদরা যেখানে আছেন সেখানের প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলাচ্ছে রাজ্য সরকার। পুলিশের এসপি কে হবেন তাও ঠিক হয় ১৪ তলা থেকে। এমনকী থানার ওসি কে হবেন সেটাও ফিরহাদ হাকিমবাবুদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হন। তাই ঢিল উপযুক্ত জায়গায় মারুন”।
এদিন আবাস দুর্নীতি প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “যাঁরা যোগ্য তাঁরাও যদি ঘর না পেয়ে থাকেন আমরা সেই নামের তালিকা তৈরি করতে বলেছি। দরকার হলে আদালতে যাব”।
পরপর দু’দিন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর হামলার ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবী করেছেন শুভেন্দু-সুকান্তরা। এই ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফেও। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বন্দে ভারত ট্রেনের উপর যা হয়েছে তা অত্যন্ত অন্যায়, নিন্দনীয়।জাতীয় সম্পত্তি নষ্ট করা, ইট মারা আমরা সমর্থন করি না। যারা করেছে, তাঁদের খুঁজে বার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত। আগে বিহার, ঝাড়খন্ড দিয়ে যখন যেতাম, তখন মাঝেমধ্যে খেয়াল করতাম বাইরে থেকে কেউ একজন ঢিল মারল। এরা দুষ্কৃতী। এদের শাস্তি দিলে আর কেউ সাহস পাবে না”।