রাজ্য

প্রচণ্ড দাবদাহের জের! আগামী মাসের গোড়াতেই গরমের ছুটি শুরু রাজ্যের স্কুলগুলিতে, বাদ থাকছে এই স্কুলগুলি

এখনও বৈশাখ মাস পড়ে নি। এখনই গরম যে হারে ব্যাটিং শুরু করে দিয়েছে, তাতে নাজেহাল অবস্থা বঙ্গবাসীর। কলকাতার তাপমাত্রা ৪০ ছুঁইছুঁই। আবার আজ, বৃহস্পতিবার থেকে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। আর এই গরম মাথায় নিয়েই স্কুল ছুটতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। সেই কারণে এবার গরমের ছুটি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।

প্রথমে স্থির ছিল হে ২৪ মে থেকে রাজ্যের স্কুলগুলিতে শুরু হবে গরমের ছুটি। কিন্তু আবহাওয়া পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবার ছুটি এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানাল বিকাশ ভবন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এই ছুটি এগিয়ে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ২ মে থেকেই গরমের ছুটি পড়ছে রাজ্যের নানান স্কুলে। শিক্ষা দফতরের তরফে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই নোটিশই বলবত থাকবে।

তবে রাজ্যের অন্যান্য জেলার সব স্কুলে ২ মে থেকে গরমের ছুটি পড়লেও দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের পাহাড়ি জেলার স্কুলগুলিতে তখন গরমের ছুটি পড়ছে না। সেই স্কুলগুলি যেমন চলছে, তেমনই চলবে বলে জানাল শিক্ষা দফতর। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২ মে থেকে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীরাও বিশেষ ক্ষেত্রে ছুটিতে থাকবেন। স্কুল ফের খোলার পরে তাঁরা অতিরিক্ত ক্লাস করানোর ব্যবস্থা করতে হবে তাদের। স্কুল তাড়াতাড়ি বন্ধ হওয়ার কারণে পড়ুয়াদের পড়াশোনায় যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেটা স্কুল কর্তৃপক্ষকেই গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।

প্রচণ্ড দাবদাহের জের! আগামী মাসের গোড়াতেই গরমের ছুটি শুরু রাজ্যের স্কুলগুলিতে, বাদ থাকছে এই স্কুলগুলি 2

আগামীদিনে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা আরও বাড়বে।  দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে।  কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা। উত্তরবঙ্গের মালদহ ও উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে তীব্র তাপপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে। কোনও জেলাতেই বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে তাপপ্রবাহ না হলেও দিনের তাপমাত্রা অনেকটাই বাড়বে।

এই তাপপ্রবাহের জেরে জন্য সাধারণ মানুষ যাতে কোনওভাবেই অসুস্থ না হয়ে পড়েন সেজন্য সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বেশি করে জল খাওয়া, হালকা সুতির পোশাক পরা, তেল-মশলা জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকা, ফল খাওয়া, ছাতা নিয়ে বাইরে বার হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন আবহবিদরা।

Back to top button
%d bloggers like this: