রাজ্য

‘রাজ্য সরকার বিড়ম্বনায় পড়ে যাবে বলেই পুলিশ প্রমাণ খুঁজে পাচ্ছে না’, পাঁচলায় মহিলাকে বি’ব’স্ত্র করার ঘটনায় দাবী শুভেন্দুর

মণিপুরের মতোই অবস্থা বাংলারও। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন হাওড়ার পাঁচলায় এক মহিলা বিজেপি প্রার্থীকে বি’ব’স্ত্র করার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনাকে ঘিরে এখন গোটা রাজ্য উত্তপ্ত। এমন অভিযোগ ওঠার পরই তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। তাঁর দাবী, এমন অভিযোগ এসেছে ঠিকই কিন্তু তথ্যপ্রমাণ মেলেনি। তদন্ত করছে পুলিশ।

ডিজির এমন দাবীর পরই এবার পাল্টা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, পাঁচলার ঘটনায় ডিজিপি যা বলেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। তাঁর দাবী, রাজ্য পুলিশ এই ঘটনায় কোনও তথ্যপ্রমাণ খুঁজে পাচ্ছে না কারণ, তা করলে রাজ্য সরকার বিড়ম্বনায় পড়ে যাবে। ডিজিপির বক্তব্য ও নির্যাতিতা ওই মহিলার বক্তব্য পাশাপাশি তুলে ধরে টুইট করেন শুভেন্দু।

পাঁচলার ঘটনায় কী জানায় বিজেপি?

গতকাল, শুক্রবার পাঁচলার এই ঘটনা নিয়ে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর সেই দাবীতে শোরগোল পড়ে যায়। তিনি বলেন, “পাঁচলায় বিজেপির মহিলা প্রার্থীকে ন’গ্ন করে ঘোরানো হয়েছে। এটা কি মণিপুরের থেকে কম দুঃখজনক? ফারাক শুধু এটার কোনও ভিডিও নেই। কারণ এখানে মমতার পুলিশ ও মমতার গুন্ডা ভিডিও করার জন্য কাউকে অনুমতি দেয় না”।

কী জানিয়েছেন ডিজিপি?

সুকান্তের এহেন দাবীর পরই সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। তাঁর দাবী, “৮ তারিখ একটি ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। ভোটের দিন বেলা ১১টার সময় ওই ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ এসেছিল। এক মহিলাকে বুথের ভিতর থেকে জোর করে বের করে তাঁর কাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ এসেছিল। হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ এসেছিল। তিনি সেই অভিযোগ দ্রুত সংশ্লিষ্ট থানার আইসিকে জানিয়েছিলেন। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই প্রাথমিক তদন্ত করে, ১৪ তারিখ এফআইআর দায়ের করা হয়। তদন্ত শুরু হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত এমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি, যা অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করে”।

ডিজিপির এই বক্তব্যকে মিথ্যে বলে দাবী শুভেন্দুর

শুভেন্দু অধিকারীর পাল্টা দাবী, ডিজিপির এই বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যে। একটি ভিডিও টুইট করে তাতে ডিজিপির বক্তব্য ও নির্যাতিতা মহিলার বক্তব্য পাশাপাশি রেখে পোস্ট করেন তিনি। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে নি খবর ২৪x৭। এই ভিডিওতে ওই মহিলাকে বলতে শোনা যায় যে ভোটের দিন তাঁর শাড়ি ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছিল। চড় মারা হয়েছিল তাঁকে। মহিলার অভিযোগ, এখনও বাইরে যেতে গেলে তাঁকে হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে।

Back to top button
%d bloggers like this: