বিজেপির রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র থেকে বাদ শুভেন্দুর নাম, জোর হইচই গেরুয়া শিবিরের অন্দরে

বিজেপির রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানের আগে বেশ শোরগোল পড়ে গেল দলের অন্দরে। এই অনুষ্ঠানের ব্যানার, আমন্ত্রণপত্র থেকে বাদ পড়ল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম। আর তাঁর নাম বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা সংগঠন ‘খোলা হাওয়া’র তরফে। আর তা নিয়ে বেশ জল্পনা তৈরি হয়েছে।
কিছুদিন আগেই এই ‘খোলা হাওয়া’ নাম নিয়েও বেশ বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বিজেপিতে থাকতে বাবুল সুপ্রিয় এই নাম দিয়েছিলেন, এমনটাই দাবী করেন তিনি। শুধুমাত্র অনুষ্ঠানের ব্যানারই নয়, আমন্ত্রণপত্রের মলাট থেকেও নন্দীগ্রামের বিধায়কের নাম বাদ পড়েছে। সেখানে আবার সংযোজিত করা হয়েছে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নাম। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী কিষান রেড্ডি।
আজ, সোমবারই কলকাতায় আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামীকাল অর্থাৎ ২৫শে বৈশাখে সায়েন্স সিটিতে বিজেপির রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে বেশ হেভিওয়েট নেতারাই যে উপস্থিত থাকবেন, তা বেশ স্পষ্ট। সেখানে আমন্ত্রণপত্র বা ব্যানারে শুভেন্দুর নাম বাদ পড়তেই তা নিয়ে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে নানান কানাঘুষো শুরু হয়েছে।
অনেকের মতেই, শুভেন্দুর সঙ্গে অনেক রাজ্য নেতার সম্পর্কই তেমন ভালো নয়, সেই কারণেই বাদ পড়েছে তাঁর নাম। সূত্রের খবর, দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদারের নাম রাখতে গিয়েই উদ্যোক্তারা শুভেন্দুর নাম সরিয়েছেন। এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে আবার, সোশ্যাল মিডিয়ায় রবীন্দ্রজয়ন্তীর আমন্ত্রণপত্রের ছবি দিয়ে পোস্ট করেন ‘খোলা হাওয়া’ সংগঠনের আহ্বায়ক বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। সেখানেই দেখা যায়, আমন্ত্রণপত্রে নাম নেই শুভেন্দু অধিকারীর। নাম রয়েছে অমিত শাহ্’র।
এই বিষয়ে শঙ্কুদেব পণ্ডা বলেন, “শুভেন্দুর নাম বাদ পড়েছে, একথা সঠিক তথ্য নয়। ভিতরের পাতায় শুভেন্দুর নাম আছে। সুকান্ত মজুমদারের নামও আছে। এসব নিয়ে অন্য কোনও রাজনীতি খোঁজা বৃথা। শুধু নাম কেন? রবীন্দ্রনাথ ছাড়া কারও ছবিও থাকছে না ব্যানারে। অমিতজিরও নয়। এটা যে অরাজনৈতিক অনুষ্ঠান”।