রাজ্য

‘অভিষেক-কুন্তলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরাতে সমস্যা কোথায়, তদন্তে সহযোগিতা করতে কীসের অসুবিধা’, প্রশ্ন নিয়োগ দুর্নীতি মামলার নতুন বিচারপতি অমৃতা সিনহার

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত, এমনই পর্যবেক্ষণ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তা নিয়ে শুরু হয় তুমুল রাজনৈতিক চাপানউতোর। এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তল ঘোষ এই দুটি মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরিয়ে নেয় শীর্ষ আদালত।

সেই দুই মামলা যায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। আজ, সোমবার সেই মামলারই শুনানি ছিল। এদিন এজলাসে বিচারপতি সিনহা বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তদন্তে যদি সহযোগিতা করেন, তাহলে সমস্যা কোথায়? তদন্তকারী সংস্থা যে কোনও কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারে। এতে অসুবিধা কোথায়”?

আজ এজলাসে এই মামলা নিয়ে কোনও নির্দেশ দেন নি বিচারপতি সিনহা। আগামী ১২ মে ফের এইন মামলার শুনানি রয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে সিবিআই যে অফিসার বদলের আর্জি জানিয়েছিল এদিন তাতেও সায় বিচারপতি সিনহার বেঞ্চ। এবার থেকে ধরমবীর সিংয়ের জায়গায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার হবেন কল্যাণ ভট্টাচার্য।

এই মামলার বিষয়ে অভিষেকের তরফের আইনজীবী সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই মামলায় তাঁর মক্কেলকে পক্ষই করা হয়নি। শুধুমাত্র পর্যবেক্ষণ রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে কীভাবে কাউকে জেরা করা যায়?

এর পাল্টা বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, “আপনি নিজে আসেননি কেন? পক্ষ হওয়ার অপেক্ষা কেন করছিলেন? আপনার কিছু আশঙ্কা আছে? তদন্তে সমস্যা কোথায়”?

বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি রয়েছে আগামী ১২ই মে। সেইদিনই জানা যাবে, অভিষেক ও কুন্তলকে আদৌ মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার নির্দেশ দেবেন কী না বিচারপতি সিনহা। অভিষেককে এই মামলায় পক্ষ করা হবে কী না, তাও যাবে সেদিনই। এখন সেই শুনানির দিকেই তাকিয়ে সকলে।

Back to top button
%d bloggers like this: