‘ত্রিপুরায় নোটার চেয়েও কম ভোট পাবে তৃণমূল’, হুঙ্কার শুভেন্দুর, পড়শি রাজ্যে মমতার জনসংযোগকে গুরুত্বই দিচ্ছেন না বিজেপি নেতা

সামনেই ত্রিপুরায় (Tripura) ভোট। এর আগে ভোটের প্রচারে সে রাজ্যে গিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বাঙালি ভাবাবেগকেই উস্কে দিয়ে ত্রিপুরায় পা রেখে তিনি বলেছেন বাংলা তাঁর প্রথম ঘর আর ত্রিপুরা তাঁর দ্বিতীয় ঘর। মমতার মুখে এমন বার্তা সে রাজ্যের নির্বাচনের (Assembly Election) পালে হাওয়া দেবে বলেই মনে করছে তৃণমূল। তবে মমতার এই জনসংযোগকে কোনওভাবেই গুরুত্ব দিতে চান না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikaris)। আজ, মঙ্গলবার আগরতলা যাওয়ার আগে হুঙ্কার দিয়ে তিনি বলে যান যে ত্রিপুরাতে তৃণমূল নোটার চেয়েও কম ভোট পাবে।
ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারী রয়েছে বিজেপির তারকা প্রচারকদের তালিকায়। গতকাল, সোমবারই সেই পড়শি রাজ্যে পৌঁছে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আজ, মঙ্গলবার সে রাজ্যে যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। বঙ্গ রাজনীতির দুই যুযুধান পক্ষ এখন উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। ফলত, প্রচারের দিক থেকে কে কাকে টেক্কা দেন, সেদিকেই এখন নজর রয়েছে সকলের।
এসবের মধ্যে এদিন কলকাতা বিমানবন্দরের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতার জনসংযোগ প্রসঙ্গে শুভেন্দু জানিয়ে গেলেন বলে যান, “সে সব পিকচারেই নেই। আমরা কাউন্ট করছি না। নোটার থেকেও কম ভোট পাবে। আমাদের দলের সিদ্ধান্ত হয়েছে, ওখানে কোনও সভা-সমিতিতে ওই দলের নামই কেউ উল্লেখ করবে না”।
ভোটের মুখে ত্রিপুরায় এখন উত্তেজনার কমতি নেই। সে রাজ্যে জনসংযোগ বাড়াতে কোনও খামতি রাখছেন তা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবারই রাস্তার ধারে একটি দোকানে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। সেখানে নিজেই সিঙ্গারা ভাজেন। ত্রিপুরায় গিয়ে মমতার এমন ‘ঘরের মেয়ে’ হয়ে ওঠা তৃণমূল শিবিরকে নির্বাচনে বাড়তি সুবিধা দিতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তবে অন্যদিকে, মমতার এই জনসংযোগকে মোটেই সেভাবে গুরুত্ব দিতে নারাজ শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সাফ কথা, বিজেপি দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওখানে কোনও সভা-সমাবেশে বাংলার শাসক দলের নামও উল্লেখ করা হবে না।