রাজ্য
মমতার ইগোতেই সব শেষ, কেন্দ্র-রাজ্যের সুসম্পর্ক না থাকলে রাজ্যের উন্নতি সম্ভব নয়! দীনেশ উবাচ

কিছুদিন আগেই দলবদলের বাজারে তৃণমূল ত্যাগ করেছেন দীনেশ ত্রিবেদী। ছেড়েছেন সাংসদ পদ। সেদিন সভাকক্ষে দাঁড়িয়ে দলত্যাগী দীনেশ জানিয়েছিলেন, “আমার রাজ্যে হিংসা হচ্ছে। কিন্তু এখানে কিছুই বলতে পারছি না। আমার দমবন্ধ হয়ে আসছে, কিছুতেই কাজ করতে পারছিলাম না।” ১২ই ফেব্রুয়ারি দলত্যাগের পরেই দীনেশকে ভিনরাজ্যের বাসিন্দা বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূল নেতারা। এ ছাড়াও তারপর থেকে একাধিক কথা উড়ে এসেছে তাঁকে লক্ষ্য করে। আর এবার এক সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন তৃণমূলত্যাগী এই সাংসদ। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে বিজেপিতে যাবেন কিনা বা কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াবেন, তাও জানান ত্রিবেদী। এ দিন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “দলের প্রথম দিন থেকে কাজ করেছি। তাই সেই দলকে সঠিকভাবে চালাতে একাধিক সময়ে শান্তিরক্ষা এবং রাজ্যের উন্নয়নের জন্য পরামর্শ দিয়েছি। কিন্তু আমাকে সবসময় কোণঠাসা করা হয়েছে। মহাভারতের আইকনিক চরিত্র ভীষ্মের মতো কাঁটার বিছানায় স্থান দেওয়া হয়েছিল। আমি কেন্দ্রও এবং রাজ্যের মধ্যে সেতু গড়তে চেয়েছিলাম। কিন্তু মমতা বন্যপাধ্যায়ের ইগো সব কিছু শেষ করে দিল।” শুভেন্দুসহ অন্যান্য তৃণমূল ত্যাগীদের সুরে সুর মিলিয়ে দীনেশ ত্রিবেদী বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে ভাল সম্পর্ক থাকা একান্ত প্রয়োজন। তাতে রাজ্য অনেকাংশে সুবিধা পায়। আমি জানতাম পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে সম্পর্ক সহজ করা অত্যন্ত কঠিন, চার দশক ধরে সেটা কেউ করতে পারেনি। কিন্তু আমি চেষ্টা করেছিলাম।