আমি শুভেন্দুর ফ্যান! তৃণমূল ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়ে বলেছিলেন শীলভদ্র দত্ত, তড়িঘড়ি তাঁর মান ভাঙাতে হাজির পিকে বাহিনী

শুভেন্দু চক্রবর্তীর সমর্থনে মুখ খুলেছিলেন বারাকপুরের বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। বলেছিলেন আমি শুভেন্দুর ফ্যান। ওঁ যা করেছে একেবারে ঠিক করেছে।
আর তৃণমূল বিধায়কের মুখে এহেন শুভেন্দু স্তুতি শুনে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করতে শুরু করেছিল মিহির গোস্বামীর পর হয়ত এই তৃণমূল বিধায়কও বিজেপির ঝান্ডা হাতে তুলে নিতে পারেন। বিতর্ক জিইয়ে রেখে শীলভদ্র দত্ত নিজেই জানিয়েছিলেন, ‘ভবিষ্যৎই বলবে কোন দলে থাকব।’
শুভেন্দুর দল ছাড়া প্রসঙ্গে তিনি নিজের বক্তব্যে বলেছিলেন শুভেন্দুর মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়া রাজ্যের মানুষের স্বার্থে ক্ষতি। তবে তৎক্ষণাৎ এটাও মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রীই ঠিক করেন মন্ত্রী কে হবেন আর কে থাকবেন। তবে নিশ্চয়ই মুখ্যমন্ত্রী ভাল কাউকে পেয়ে গিয়েছেন!
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তিনি লড়বেন না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন বারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। সঙ্গে পিকের সংস্থার কর্মীদের কার্যকলাপেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
তৃণমূল বিধায়কের এহেন বিস্ফোরক বক্তব্য শুনে তাঁর মান ভাঙাতে বারাকপুরের বিদ্রোহী তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্তের বাড়িতে গেলেন প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার কর্মীরা। মঙ্গলবার তাঁর বাড়িতে গিয়ে বর্ষীয়ান বিধায়কের ক্ষোভ নিরসনের চেষ্টা করেন তাঁরা।
কিন্তু হাতে আসেনি কিছুই। দুঁদে রাজনীতিকের সপাট প্রশ্ন দলের নেতারা না এসে কেনও পাঠানো হল পিকের সংস্থার কর্মীদের?
আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুরে তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্তের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা IPAC এর কর্মীরা। এই তৃণমূল তৃণমূল বিধায়কের কাছ থেকে তারা তাঁর ক্ষোভের কারণ জানতে চান। একই সঙ্গে নির্বাচনে না লড়ার সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনা করার জন্যও অনুরোধ করেন। সেই সময়ই শীলভদ্র দত্ত প্রশ্ন করেন, মান ভাঙাতে দলের নেতারা না এসে কেনও পাঠানো হল পিকের সংস্থার কর্মীদের? দলের নেতারা কোথায়?
পরে তিনি এই আলোচনা বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানান, পিকের সংস্থার কর্মীরা এসেছিলেন। আমাকে নির্বাচনে না লড়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলেন। কিন্তু আমি জানিয়ে দিয়েছি, প্রকাশ্যে যা বলেছি তার থেকে সরে আসা সম্ভব নয়। ওরা একটা সংস্থার কর্মী। ওদের দল পাঠিয়েছে, তাই এসেছেন। ওদের সঙ্গে কথা না বলা অসৌজন্য হত।