জারি ভোট পরবর্তী হিংসা, প্রকাশ্যে গুলি করার পর কুপিয়ে খু’ন তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীকে, তুমুল হইচই মগরাহাটে

পঞ্চায়েত ভোট শেষ হওয়ার পরও অশান্তি জারি রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার মগরাহাট পূর্ব গ্রাম পঞ্চায়েতের অর্জুনপুরে জয়ী তৃণমূল প্রার্থীকে খু’ন করা হল। তাঁর সঙ্গে জখম এক তাঁর প্রতিবেশীও। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে মগরাহাট থানার পুলিশ।
কী ঘটনা ঘটেছে?
মৃত ওই জয়ী তৃণমূল প্রার্থীর নাম মইমুর ঘরামি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের তৃণমূলের টিকিটের লড়ে জিতেছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, গতকাল, শুক্রবার রাতে যখন তিনি বাড়ি ফিরছিলেন, সেই সময় রাতের অন্ধকারে তাঁকে ঘিরে ধরে কয়েকজন দুষ্কৃতী এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। এরপর আবার গুলি খাওয়া মইমুরকে একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে তারা। মইনুরকে বাঁচাতে গেলে তাঁর প্রতিবেশীও গুলিবিদ্ধ হন।
মইমুরের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে যায়। সেই সময় পালায় ওই দুষ্কৃতীরা। জখমদের উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে মইনুরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তাঁর ওই প্রতিবেশীর অবস্থাও বেশ আশঙ্কাজনক। কে বা কারা এই কাজ করল, তা এখনও জানা যায়নি।
এই ঘটনার খবর পাওয়ার পর বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছন ডায়মন্ড হারবারের এলডিপিও মিতুন দে। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনায় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীর নাম উঠে আসছে যাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই একজনকে আটক করা হয়েছে। তারা এলাকায় চুরি-চামারির সঙ্গে যুক্ত। রাজনৈতিক কারণে খুন নাকি অন্য কিছু, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তবে মগরাহাট পূর্বের বিধায়ক নমিতা সাহা এই ঘটনার নেপথ্যে পরোক্ষভাবে বিজেপিকেই দায়ী করেছে। যদিও গেরুয়া শিবিরের পাল্টা দাবী, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলেই মৈমুর ঘরামি খু’ন হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মোট ২৭টি আসনবিশিষ্ট মগরাহাট পূর্ব গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল পেয়েছে ১৩টি আসন। সিপিএম এবং বিজেপি ৬টি করে মোট ১২টি আসন নিজেদের দখলে রয়েছে। নির্দলদের ঝুলিতে রয়েছে ২টি আসন। মৈমুর ঘরামিকে উপপ্রধান করা হতে পারে বলে জল্পনা দানা বাঁধে।