কন্যাশ্রী’র টাকা চাই? দিতে হবে কাটমানি! মালদায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠল অভিযোগ

বাংলায় সবকিছুতেই লাগে কাটমানি। ন্যায্য কোনও কিছু পাওয়ার দাবি জানালেই জুড়ে যায় ভাগের টাকা। স্থানীয় নেতা, কর্মী হোক বা স্কুলের প্রধান শিক্ষক কাটমানি চাই সবার। আর এবার কন্যাশ্রী প্রকল্পের (Kanyashree Scheme) টাকা পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ও এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর বিরদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার চাঁচলের জালালপুর হাই মাদ্রাসায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ঘটনাটি। কি দেখা গেছে ওই ক্লিপে? সম্প্রতি গোপন ক্যামেরায় টাকা লেনদেনের একটি ভিডিয়ো তোলেন এক অভিভাবক। এর পর প্রধানশিক্ষক ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর বিরুদ্ধে বিডিও ও এসডিওর কাছে অভিযোগ দায়ের করেন কয়েকজন। তাদের দাবি, অবিলম্বে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রধান শিক্ষকের শাস্তি চাই।
ভাইরাল ভিডিও টিতে দেখা যাচ্ছে স্কুলের এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মী এক অভিভাবকের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন। বিচার চেয়ে প্রমাণসহ প্রশাসনে অভিযোগ দায়ের করেছেন বেশ কয়েকজন অভিভাবক।
জামালপুর হাই মাদ্রাসার পড়ুয়াদের অভিভাবকদের দাবি, কন্যাশ্রী ২-এর ২৫,০০০ টাকা পাইয়ে দেওয়ার জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে ঘুষ নিচ্ছেন মাদ্রাসারই এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। প্রধান শিক্ষক তাফাজ্জল হোসেনের নির্দেশে তিনি এই কাজ করছেন বলে দাবি পড়ুয়াদের অভিভাবকদের। কন্যাশ্রীর টাকার জন্য ৩,০০০ থেকে ৮,০০০ টাকা পর্যন্ত কাটমানি নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা।
তবে স্বাভাবিক ভাবেই টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক তাফাজ্জল হোসেন। তিনি জানিয়েছেন পুরোটাই তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত। ঘটনার পূর্ণতদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন মালদার জেলাশাসক।