রাজ্য

‘নিজেদের ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরাতেই গ্রেফতার’, ‘কালীঘাটের কাকু’ গ্রেফতারির পর বিস্ফোরক কুণাল, ‘অনেক গিঁট খুলবে’, দাবী বিজেপির

টানা ১২ ঘণ্টা জেরার পর অবশেষে গতকাল, মঙ্গলবার রাতে নিয়োগ দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার হয়েছেন ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তিনি রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না হলেও তাঁর এই গ্রেফতারি নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে। তৃণমূলের মতে, বায়রন বিশ্বাসের দলবদলের সঙ্গে এই গ্রেফতারির যোগ থাকতে পারে। আবার বিজেপির মতে, এই গ্রেফতারির ফলে দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ডের খোঁজ মিলতে পারে।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ গ্রেফতার করা হয় বেহালার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। তাঁর এই গ্রেফতারির পরই তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তোলেন যে বায়রন বিশ্বাসের দলবদলের পর এই গ্রেফতারি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় তো?

সরাসরি গ্রেফতারির প্রসঙ্গ উল্লেখ না করে টুইটে কুণাল লেখেন, “বাইরন তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় কংগ্রেস-সিপিএম-বিজেপি জোট ধাক্কা খেয়েছিল। সেই রাগে এবং নিজেদের ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরাতে দিনভর নাটকের পর উপসংহার নয় তো”?

তিনি আরও লেখেন, “বায়রন তৃণমূলে যোগ দেওয়াতে কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি জোট ধাক্কা খেয়েছিল। সেই রাগে এবং নিজেদের ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরাতে দিনভর নাটকের পর রাতের উপসংহার নয় তো? তিন দলের উল্লাস দেখে সেটাই তো মনে হচ্ছে”।

অন্যদিকে, ‘কালীঘাটের কাকু’র গ্রেফতারি প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইটে দাবী করেছেন, আইনের হাত অবশেষে মাস্টারমাইন্ডের কাছাকাছি পৌঁছচ্ছে। কাউকে রেয়াত করা হবে না। তাঁর কথায়, সময় ঘনিয়ে আসছে।

এই গ্রেফতারি নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “প্রথম থেকেই মনে হচ্ছিল, তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হতে পারে। কারণ তাঁর কাছে অনেক তথ্য আছে। প্রথম থেকেই ওই পরিবারের সঙ্গে আছেন। অভিষেকের খুব কাছের লোক। স্বাভাবিকভাবেই এদের কাছে তথ্য আছে। তথ্যের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলবে। ধীরে ধীরে সব গিঁট খুলবে। আরও অনেক তথ্য সামনে আসবে”।

Back to top button
%d bloggers like this: