আবাস যোজনায় ঘর পাইয়ে দেওয়ার নামে লাগাতার টাকা তোলার অভিযোগ, যুব নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল

আবাস যোজনা প্রকল্প (Awas Yojna) নিয়ে রাজ্যে বারবার একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। শাসকদল ঘনিষ্ঠ বা তাদের পরিবারের নাম উঠেছে আবাস তালিকায় অথচ যারা প্রাপ্য তারাই বঞ্চিত হয়েছেন এই যোজনায়, এমন অভিযোগের (complaints) সংখ্যা নেহাতই কম নয়। এবার আবাস যোজনার নামে লাগাতার টাকা তোলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল যুব নেতার (TMC leader) বিরুদ্ধে।
তৃণমূলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে নানান দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকার অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ দুর্নীতির জেরে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব। সেই মহাসচিবকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। আবার তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বহিষ্কার করা হয়েছে। এবার এই আবাস যোজনায় দুর্নীতির জেরে তৃণমূল বহিষ্কার করল আরও এক যুব নেতাকে।
অভিযোগ, পানিহাটি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের যুব তৃণমূল সভাপতি সোমনাথ ভট্টাচার্য আবাস যোজনায় ঘর পাইয়ে দেওয়ার নামে লাগাতার টাকা তুলছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে নানান দুর্নীতির অভিযোগ অনেকদিন ধরেই আসছিল বলে জানা গিয়েছে। সেই নেতাকেই বহিষ্কার করল তৃণমূল। পানিহাটি পুরসভার চাকরি থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে উত্তর পানিহাটি যুব তৃণমূল সভাপতি পার্থ চৌধুরী বলেন, “দলের উচ্চনেতৃত্বের কাছে ওঁর নামে অনেক অভিযোগ ছিল। ওঁর নামে অনেক টাকা নেওয়ারও অভিযোগ ছিল। এর আগে বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় তাঁকে দপ্তর থেকে সরিয়ে দেন। লাগাতার অভিযোগের জেরেই ওঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল”। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দলের স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই এই যুবনেতাকে ছেঁটে ফেলল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
এই ঘটনা নিয়ে তোপ দাগতে ছাড়ে নি বিরোধীরা। বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, “রাজ্যে যেভাবে দুর্নীতির সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস জড়িয়ে যাচ্ছে সেই জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে দলের মধ্যে যে স্বচ্ছতা আছে তা মানুষের মধ্যে প্রমাণ করতেই এই ধরনের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত”।