রাজ্য

খেলতে গেলে মাল লাগে, আমাকে তালিকা দেবেন আমি রাতের অন্ধকারে পৌঁছে দেব! নিজের বক্তব্যে বিতর্কে জড়ালেন মদন

তৃণমূলে এমন গুটি কয়েক নেতা আছেন যাঁরা বিতর্কে থাকতেই ভালোবাসেন। যেমন অনুব্রত মণ্ডল, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মদন মিত্র। সম্প্রতি অনুব্রত মণ্ডলের খেলা হবে স্লোগান বঙ্গ রাজনীতিতে বেশ আলোড়ন ফেলেছে। শাসক-বিরোধী সবার মুখেই এখন এই স্লোগান l

বিধানসভা নির্বাচনের একদম মুখে দাঁড়িয়ে এবার এই স্লোগানকে কেন্দ্র করে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। মঙ্গলবার স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পীঠস্থান কাঁথির পিছাবনীতে দলীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে দাঁড়িয়ে নিজের মুখে বললেন, “খেলতে গেলে মাল লাগে। আমাকে তালিকা দেবেন আমি মাল পৌঁছে দেব। ভোটে যে মাল লাগে সেই মাল পৌঁছে দেব। দিনে পারব না, রাতে পৌঁছে দেব।”

কেন্দ্রীয় সরকারের নানা জনবিরোধী নীতি, পেট্রল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, কৃষি আইন বাতিলের দাবিতেই ছিল এই জনসভা। মদন মিত্র ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া অভিনেত্রী রণিতা দাস। যিনি ইষ্টিকুটুম সিরিয়ালে ‘বাহামণি’ চরিত্রের জন্যই বেশি পরিচিত।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি ‘পরিবর্তন যাত্রা’ উপলক্ষে পিছাবনীর শহিদ স্মৃতিস্তম্ভের সামনেই সভা করেছিল বিজেপি। মঙ্গলবার তারই পাল্টা জনসভার ডাক দেওয়া হয়। মদন মিত্রের ‘খেলা হবে’ স্লোগানে জনসভা ছিল রীতিমতো সরগরম।

নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন মদন মিত্র বলেন, “প্রতিদিন দিল্লি-সহ ভিনরাজ্যের বহিরাগত নেতারা পশ্চিমবঙ্গে রোজ যাতায়াত করছেন। আগেই আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেছিলাম, বর্ডার সিল করে দিন, যাতে বহিরাগতরা ঢুকতে না পারে। বহিরাগতরা হাতে মেশিন নিয়ে, বোমার মশলা নিয়ে ঢুকছে।” এরপর হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, “এবার আর তাঁদের সিল করে আটকাতে হবে না। আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি, তাঁদের ঢুকতে দিন। ঢোকার জায়গা হয়তো পাবে। কিন্তু বেরনোর রাস্তা খুঁজে পাবে না।”

এর পরই রাজ্যের শাসকদলের নেতার বিতর্কিত মন্তব্য, “আর খেলতে গেলে মালমশলা লাগবেই। মালমশলা লাগলে পৌঁছে দিতে হবে। আপনারা জানেন তো, নির্বাচনে কী মালমশলা লাগে?” তিনি সেই মালমশলা পৌঁছে দেবেন বলে জানান।

Back to top button
%d bloggers like this: