রাজ্য

WB Election 2021: নন্দীগ্রামে মমতার জয়ের পথে বাধা হতে পারে আব্বাস সিদ্দিকিরা, ক্রমশ বাড়ছে উদ্বেগ!!!

আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাম ও কংগ্রেস জোট বেঁধেছে। এই জোটের মাঝে আব্বাসদের আসনের দাবী একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতির অন্দরে। এবার এরই মাঝে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে যে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জোট শিবির থেকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে পারেন আব্বাসদের পক্ষেরই কেউ একজন। এই কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের পথে বাধার সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের অবসান ঘটিয়ে বাংলায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতিয়ার ছিল সংখ্যালঘু ভোট। এবারের বিধানসভা নির্বাচনেও সংখ্যালঘু ভোট মমতার জন্য সমান প্রয়োজনীয়। কারণ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি হিন্দুত্ব কার্ডের মাধ্যমেই বহু আসন জিততে সফল হয়। তাই তৃণমূল নেত্রীর জন্য সংখ্যালঘু ভোটে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু এখন বাম-কংগ্রেসের জোট থেকে যদি আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফ দাঁড়িয়ে যায়, তাহলে তা তৃণমূল সুপ্রিমোর কপালে ভাঁজ ফেলবে, তা অনুমান করাই যায়।

আরও পড়ুন- এই রে! মুখ ফসকে তোলাবাজির কথা স্বীকার তৃণমূল সুপ্রিমোর, বললেন গ্রামের গরীব লোকেরা ৫-১০ টাকা তোলে

পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ২.৪৭ কোটি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন। সেই জায়গা থেকে গত লোকসভা ভোটে ৫ শতাংশ ভোট বেশি পেয়ে জিতে যায় তৃণমূল। তৃণমূল পায় ৪৩ শতাংশ ভোট। এই শতাংশ যে মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের জন্যই সম্ভব হয়েছে।, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এবার  হুগলির ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকিরা মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে নিজেদের দিকে টানার চেষ্টা চালাচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে জানা যাচ্ছে, বাম-কংগ্রেস জোট নন্দীগ্রামে আইএসএফ-এর কোনও সদস্যকে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে পারে। খুব শীঘ্রই এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান আব্বাসের ভাই নৌসাদ সিদ্দিকি। তাছাড়া, নন্দীগ্রামে একটি বড় র‍্যালির কথাও ভাবছেন তারা, এও জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন- “পুলিশ নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করছে”, আদালতে ঢোকার মুখে পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য রাকেশের ২ ছেলের

এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই দিয়েছেন যে নন্দীগ্রাম থেকে তিনি এবারের ভোটে দাঁড়াবেন। তাই মনে করা হচ্ছে আইএসএফ থেকে কোনও সদস্য যদি নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়, তাহলে তারা অবশ্যই মুসলিম ভোটকে টার্গেট করবে। এই অবস্থায় চাপের মুখে পড়বে মমতা। অন্যদিকে, নন্দীগ্রাম শুভেন্দু অধিকারীর গড় বলে পরিচিত। তাই বিজেপির পক্ষ থেকে যদি নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ান, তাহলে হিন্দু ভোটের অনেকটাই তাঁর দখলে থাকবে, আশা করাই যায়। তাই উভয়ক্ষেত্রেই চাপে পড়ে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সব পক্ষের প্রার্থী চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত এখনও কিছুই বলা সম্ভব হচ্ছে না।

Back to top button
%d