“এদেশে এখন দুটো নেতা, একটা হোঁদল কুতকুত, অন্যটা কিম্ভূতকিমাকার! মোদী, শাহ্ কে নজিরবিহীন আক্রমণ মমতা’র

যে কয়লা কাণ্ডে জেরবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবার এই জনসভা থেকে সেই পাচারকাণ্ডের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কড়া আক্রমণ করলেন মোদী-শাহকে। তাঁদের ‘হোঁদল কুতকুত’-‘কিম্ভূতকিমাকার’ বলে মন্তব্য করেন মমতা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত সোমবার এই মাঠেই সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সিন্ডিকেট রাজ থেকে বাংলার অনুন্নয়ন নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করে তোপ দেগেছিলেন তিনি। এদিনের সভায় সেই ইস্যুতেও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিনের সভায় আরো ছিল একটু বেশি। হাইভোল্টেজ এই সভার শুরুতেই এদিন বাংলা চলচ্চিত্রের এক ঝাঁক তারকা তৃণমূলে যোগ দেন। এই তালিকায় রয়েছেন, কাঞ্চন মল্লিক, সায়নী ঘোষ, জুন মালিয়া, সুদেষ্ণা রায়, মানালী দে। এছাড়াও জোড়া-ফুলে যোগ দেন ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি ও শিক্ষাবিদ অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। প্রত্যেকেই আসন্ন ভোটে ‘দিদি’র কাঁধে কাঁধ রেখে লড়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
চলুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক আজকের জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক কি বলেছেন-
“প্রধানমন্ত্রী এই মাঠেই সভা করেছে গত পরশু। উনি চালাকি করেন। ট্রান্সপারেন্ট কাঁচ লাগিয়ে বলেন সব। একলাইন বাংলা বলে বাঙালির মন জয় করা যায় না। ভালোবাসতে হয়। আমি তো না দেখেই সব বলি।”
এরপরই মোদী-শাহ্কে আক্রমণ করে বলেন, “এদেশে এখন দুটো নেতা, একটা হোঁদল কুতকুত। আরেকটা কিম্ভূতকিমাকার। আমি এর ইংরেজি, হিন্দি জানি না।”
বাংলায় নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তোলা বিজেপিকে এক হাত নিয়ে দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায় “বিজেপি দলের মা-বোনেরা সব সুরক্ষিত? উত্তরপ্রদেশ-গুজরাট, মধ্যপ্রদেশে সব অরক্ষিত, আর বলছে বাংলার কথা।” ঘরে ঢুকে বাইশ-তেইশ বছরের এক বউ, ঘরের কন্যাকে কয়লা চোর বলছে। আর কয়লা চোরেদের নিজেরা কোলে করে ঘুরছেন।
এরপর নিজের উপর আক্রমণের আশঙ্কা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার উপর বিজেপির খুব রাগ। ওরা আমাকে মারতে-খুন করতে পারে। ওরা সব পারে।”