‘এই টাকাটা রাখ, ভোটটা দিস’, ভোট চেয়ে টাকা বিলির অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে, ভিডিও ভাইরাল হতেই অস্বস্তিতে শাসক দল

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিই শুরু করে দিয়েছে প্রস্তুতি। জায়গায় জায়গায় চলছে প্রচার। ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে নানান অশান্তির খবরও। বারবার নানান হিংসার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। এবার এক তৃণমূল নেতার একটি ভিডিও ভাইরাল হল যার জেরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে বেশ অস্বস্তিতে পড়ল তৃণমূল।
গতকাল, শনিবার সকাল থেকেই জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে একটি ভিডিও ইতিউতি উঁকি দিচ্ছে। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, আকাশী রঙের পাঞ্জাবি পরা এক ব্যক্তি, তাঁর হাতে গোছা গোছা টাকা। আর তাঁকে ঘিরে বেশ কয়েকজন দাঁড়িয়ে রয়েছে। তিনি কাউকে ৫০০ টাকা তো কাউকে আবার ২০০-৩০০ টাকা দিচ্ছেন।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি হলেন ধূপগুড়ি ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি দীনেশ মজুমদার। তিনি এদিন সকালে ধূপগুড়ি ব্লকের সাকোয়াঝোড়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাজারে যান। সেখানেই বেশ কয়েকজনকে টাকা দিতে দেখা যায় ওই তৃণমূল নেতাকে। সেই ভিডিওই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তবে এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি খবর ২৪x৭।
সূত্রের খবর, ধূপগুড়ি ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি দীনেশ মজুমদার এবার তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের ৬ নম্বর আসনের প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচনী নিয়ম ভেঙে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীনেশ টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করছেন।
এই ভিডিও ভাইরাল হতেই তাকে হাতিয়ার করে মাঠে নেমেছে গেরুয়া শিবির। কটাক্ষ শানানো হয়েছে তৃণমূলকে। এই বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের তরফে ধূপগুড়ি বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য ওই তৃণমূল নেতার প্রার্থী পদ বাতিল করার আবেদন জানানো হয়েছে বলে খবর।
এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “টাকা দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে। আমরা এবিষয়ে ধূপগুড়ি বিডিওর কাছে অভিযোগ জানিয়েছি”।
তবে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল জেলা সম্পাদক রাজেশ কুমার সিং। তাঁর কথায়, “দীনেশ সোনাখালি মাজার শরিফে চাদর চড়ানোর হিসেবে মৌলবি সাহেবকে টাকা দিয়েছেন এবং প্রার্থনার পর বাইরে এসে গরিবকে দান করা হয়েছে। আসলে বিজেপি আইটি সেল কে বসিয়ে রেখে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে”।