ম’দ্য’প অবস্থায় বেপরোয়া গাড়ি চালানোর অভিযোগ তৃণমূল নেতা আরাবুলের ছেলের বিরুদ্ধে, ডিভাইডার ভেঙে উল্টোদিক থেকে আসা গাড়িতে সজোরে ধাক্কা

বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের ছেলের গাড়ি। সায়েন্স সিটি থেকে চিংড়িহাটার দিকে যাওয়ার সময় ঘটে দুর্ঘটনাটি। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে ছিলেন আরাবুল ইসলামের ছেলে। চিংড়িহাটা থেকে সায়েন্স সিটির দিকে আসা একটি ছোটো চারচাকার গাড়িতে সজোরে ধাক্কা মারে আরাবুলের ছেলের গাড়িটি। অভিযোগ, আরাবুল ইসলামের ছেলে ম’দ্য’প অবস্থায় ছিলেন।
জানা গিয়েছে, ওই ছোটো গাড়িটির সঙ্গে আরাবুল ইসলামের ছেলের গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুটি গাড়িই বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল বন্ধ ছিল ওই রাস্তায়। পুলিশ আরাবুলের ছেলে প্রগতি ময়দান থানায় নিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তদন্ত চলছে এই ঘটনার।
সূত্রের খবর, গতকাল রাত প্রায় সাড়ে দশটা নাগাদ ঘটে দুর্ঘটনাটি। স্থানীয় সূত্রে খবর, গাড়ির গতি অনেকটাই বেশি ছিল। অভিযোগ, আরাবুল ইসলামের ছেলে যে গাড়িটিতে ছিলেন, সেটি দ্রুত গতিতে লেন পরিবর্তন করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারায়। আর ইএম বাইপাসের গার্ডরেল ভেঙে, গার্ডরেল টপকে অন্যদিকে চলে আসে।
জানা যাচ্ছে, ঠিক সেই সময় উল্টোদিক থেকে আসছিল একটি ছোটো চারচাকার গাড়ি। আরাবুলের ছেলের গাড়িটি সেই গাড়িটিকে সজোরে ধাক্কা মারে। দুটি গাড়িরই সামনের দিকটি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চিংড়িঘাটার দিক থেকে সায়েন্সসিটির দিকে আসা গাড়ির চালক জানাচ্ছেন, উল্টোদিক থেকে আসা গাড়িটির গতি বেশি ছিল।
ঘটনাস্থল থেকে গাড়িগুলি সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যায় পুলিশ। এমন দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তৃণমূল নেতার ছেলে ম’দ্য’প অবস্থায় ছিলেন কী না, সে বিষয়ে যদিও পুলিশ মুখ খুলতে চায় নি। আরাবুল ইসলামের ছেলের মেডিক্যাল রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে আরাবুল ইসলামের দাবী, “আমার ছেলে ম’দ্য’প অবস্থায় ছিল না। এটা একটি দুর্ঘটনা। কোনও কারনে হয়তো ব্রেক থেকে পা অন্য জায়গায় চলে যায়, সেই কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। ছেলে রাস্তায় কোনদিন সেভাবে গাড়ি চালায় না। আজকে হয়তো মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ছিল। আমার ছেলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। সিগারেট ছাড়া অন্য কোনও নেশা নেই তাঁর”।