‘৩৪ বছর খেয়ে মধু, সিপিএম এখন সাজছে সাধু’, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে পাল্টা বামেদের খোঁচা তৃণমূল নেতার

নিয়োগ দুর্নীতি (recruitment scam) নিয়ে এখন গোটা রাজ্য উত্তাল। শাসক দলের একাধিক নেতার নাম জড়িয়েছে এই দুর্নীতিতে। একাধিক নেতা-মন্ত্রী জেলবন্দি। এমন পরিস্থিতিতে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে পাল্টা বামেদের নিশানা করেছে তৃণমূল (TMC)। বাম জমানায় (CPM regime) চিরকুটের সুপারিশে চাকরি নিয়ে করা হয়েছে কটাক্ষ। এবার সেই বিষয়কে হাতিয়ার করেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election) প্রচার করতে উদ্যত হল বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্ব।
গতকাল, শুক্রবার জয়পুর ব্লকের গেলিয়াতে একটি জনসভা ছিল তৃণমূলের। সেই জনসভাতেই বক্তব্য রাখেন তৃণমূলের জয়পুর ব্লক সভাপতি কৌশিক বটব্যাল। সেই সময়ই বাম আমলের চাকরিতে ব্যাপক বেনিয়মের অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। তাঁর কথায়। বাম জমানায় বেছে বেছে এলাকার বাম নেতা, তাঁদের ঘনিষ্ঠদের গ্রামপঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি, আইসিডিএস, আশাকর্মী, হাসপাতালে চাকরি দেওয়া হয়েছে।
এদিন কৌশিক বটব্যাল বলেন, “যারা চিৎকার করছে তৃণমূলের সকলে চোর বলে, আমরা তার পাল্টা তালিকা তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছি। আমার জয়পুর ব্লকে সিপিএমের কোন কোন নেতা কারা কারা চাকরি করেছে, তাদের পরিবারের কারা চাকরি করেছে, সব তৈরি। সেই তালিকা নিয়ে মানুষের দরজায় দরজায় যাব”।
তাঁর সংযোজন, “সকলকে জানাব ৩৪ বছর খেয়ে মধু, সিপিএম এখন সাজছে সাধু। তারা কত বড় সাধু সেটা লোককে বলব। এক সময় চিরকুটে চাকরি দিয়েছে। নির্বাচনে এটা আমাদের প্রধান ইস্যু হবে”।
তৃণমূল নেতার এহেন মন্তব্যের পাল্টা তোপ দাগা হয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফেও। জয়পুরের বামনেতা গণেশগোপাল মুখোপাধ্যায় পাল্টা বলেন, “আমাদের রাজ্য বামফ্রন্ট নেতৃত্ব তো স্পষ্ট মতামত দিয়ে দিয়েছে। আমরা এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছি। কোনও বেনিয়ম নিয়োগ আমাদের হয়নি। বামপন্থী পরিবারের কেউ অন্যায়ভাবে চাকরি পায়নি। পরীক্ষা দিয়ে চাকরি করেছে বা করছে”।