রাজ্য

গোটা রাত নিখোঁজ, তৃণমূল নেতাকে অপহরণ, মুক্তিপণ দিতে না পারায় খু’ন, অভিযোগের আঙুল বিরোধীদের দিকে

গোটা রাত নিখোঁজ ছিলেন তিনি। মুক্তিপণ চেয়ে বাড়িতে ফোনও এসেছিল। আর এর কয়েক ঘণ্টা বাদেই বাঁশবাগান থেকে উদ্ধার হল তৃণমূল নেতার রক্তাক্ত দেহ। কুপিয়ে খু’ন করা হয়েছে তাঁকে। তাঁর স্ত্রীও তৃণমূল পঞ্চায়েতের সদস্যা বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

কী ঘটেছে ঘটনাটি?

এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের রতুয়া থানার শ্রীপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে। মৃতের নাম সাদেক আলি। তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্য। তাঁর স্ত্রী আনোয়ারা বিবিও তৃণমূল পঞ্চায়েতের সদস্যা। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল, মঙ্গলবার রাতে এলাকার চায়ের দোকানে ছিলেন সাদেক। সেখানেই ১০টা নাগাদ কেউ তাঁকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর থেকেই নিখোঁজ হন সাদেক।

এরপর গভীর রাতে সাদেকের ছেলের ফোনে একটি ফোন যায়। ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। এরপরই সুইচড অফ হয়ে যায় নম্বরটি। সাদেকের পরিবার রতুয়া থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। রাত আরও বাড়লে ফের ফোন আসে আর মুক্তিপণ বাড়িয়ে ২ লক্ষ করে দেওয়া হয়। পুলিশ খোঁজাখুঁজি শুরু করে সাদেকের কিন্তু তাঁর হদিশ মেলেনি।

এরপর আজ, বুধবার দুপুরে বাড়ি থেকে অল্প দূরেই এক বাঁশবাগান থেকে উদ্ধার হয় সাদেকের রক্তাক্ত দেহ। কুপিয়ে খু’ন করা হয়েছে তাঁকে। এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এই ঘটনায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

সাদেকের পরিবারের এক সদস্যের দাবী, “পুলিশকে আমরা রাতেই সবটা জানিয়েছি। যদি তখনই কোনও পদক্ষেপ করত, তাহলে এমনটা হত না”। পরিবারের দাবী, সাদেক রাজনীতির শিকার। বিরোধীরাই খু’ন করেছে তাঁকে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী তুলেছে সাদেকের পরিবার।

Back to top button
%d bloggers like this: