‘এই রক্তের জয় চাই না, পুলিশের হাত বেঁধে রাখবেন না মমতাদি’, পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা নিয়ে বিস্ফোরক খোদ তৃণমূল বিধায়ক

পঞ্চায়েত ভোটে ও ভোট গণনার দিন হিংসা ও অশান্তির রাজনীতি দেখেছে বাংলা। প্রাণ গিয়েছে একাধিকের। রক্তগঙ্গা চারিদিকে। এবার এই নিয়ে দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। তাঁর কথায়, রক্তাক্ত হয়ে জেতাটা ঘৃণা করেন তিনি।
কী বলেছেন আব্দুল করিম?
ভোটে এহেন হিংসা নিয়ে রাজ্য পুলিশের উপর ক্ষোভ বর্ষণ করেন তৃণমূল বিধায়ক। এর পাশাপাশি তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। বলেন, “পুলিশ প্রশাসনের হাত বেঁধে রাখবেন না মমতাদি। আপনার এই হাত বেঁধে রাখার জন্যে মানুষ খুন হচ্ছে। পুলিশ নীরব হয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে। এটা খুব দুঃখের। আমাদের সরকারের সময় এটা হচ্ছে দেখে আমার খারাপ লাগছে”।
পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বারবার দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আব্দুল করিম চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, দলের একাংশ নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতেই ব্যস্ত। ভোট বয়কটের কথাও ভেবেছিলেন তিনি, এমনটাই জানান ইসলামপুরের বিধায়ক। বলেন, “নির্বাচনের আগেই আমি ভাবছিলাম ভোট বয়কটের ডাক দিই। ওরা ভোট লুটবে এই ভয়ে আমাকে নির্দল হয়ে লড়তে হল। নির্দলদের ভোট দিয়ে মানুষ প্রমাণ দিয়ে দিয়েছে কানাইয়া, জাকির হটাও”।
দলে গ্রুপবাজি চলছে বলে অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের
ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়কের অভিযোগ, শীর্ষ নেতৃত্বের কথা না শুনে এক দল গ্রুপবাজি করে বেড়াচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “নেতৃত্বের কথা না শুনে গ্রুপবাজি করেছে। ওরা নেতাদের কথা শোনে না। মমতা এসব পছন্দ করে না”।
পঞ্চায়েত ভোটে রক্তের বিনিময়ে ভোটে জয়ের বিরোধিতা করেছেন আব্দুল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, “যে ভাবে পারো জিততে হবে। রক্তাক্ত করে জেতাটা আমি প্রথম থেকেই ঘেন্না করেছি। রক্তের বিজয় আমি চাই না। রক্ত নিয়ে জয় পাওয়া যায় না। জেতার জন্য খুন করে দাও। যেটা শাসক দল তৃণমূল করছে। পুলিশ মদত দিচ্ছে শাসক দলকে”।