রাজ্য

‘তৃণমূল কর্মীরাই একে অপরের বাড়িতে লুট করেছে, আমাদের তেল শেষ, বাতি নিভে আসছে’, বিস্ফোরক দাবী সিতাইয়ের তৃণমূলের বিধায়কের

লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল কর্মীরাই একে অপরের বাড়িতে লুঠপাট চালিয়েছে। তৃণমূলের লোকেরাই দু নৌকায় পা দিয়ে বিজেপিকে জিতিয়েছে। এমনই বিস্ফোরক দাবী করলেন কোচবিহারের সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। গতকাল, রবিবার এক দলীয় সভা থেকে তিনি এও দাবী করেন যে তৃণমূলের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যদি না মেটে, তাহলে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল ফের হারবে।

কোচবিহার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের জন্য বেশ সুপরিচিত। জেলায় কোনও তৃণমূল নেতাই একে অপরকে মানতে চান না। নিজস্ব গোষ্ঠী রয়েছে সকলেরই। একজনকে জেলা সভাপতি করলে অন্যরা বেঁকে বসেন। দীর্ঘদিন ধরেই এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু আশার আলো ফুটছে না।

এরই মধ্যে বিতর্ক উস্কে দিলেন কোচবিহারেরই সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়। তাঁর কথায়, “আমরা যদি ঠিক না হই, আমরা যদি ওই নচিকেতার গানের মতো সবাই সবার হাতে কাঠি নিয়ে গুঁতাগুঁতি শুরু করি তাহলে কী হবে? এখানে যাঁরা বসে আছেন, তারা আগে নিজেরা ঠিক হন।

তাঁর সংযোজন, “এই করতে করতে আমাদের তেল শেষ, বাতি নিভে যাচ্ছে। এই অবস্থা যদি চলে তাহলে ২০২৪-এ কুচবিহার জেলার ফল যা ছিল তাই হবে।অনেক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা এলাকায় ঢুকতে পারেননি। এই অবস্থার জন্য কে দায়ী? বিজেপি? কেউ না আমরা নিজেরাই দায়ী”।

এরপরই বিস্ফোরক দাবী করে জগদীশ বর্মা বসুনিয়া বলেন, “অবাক লাগে, আমি দেখেছিলাম ২০১৯এ লোকসভা নির্বাচনে হারার পর কোন লোকেরা তৃণমূল কংগ্রেসের বাড়ি লুঠ করেছে? যারা তৃণমূল কংগ্রেসটা করত, তারাই। বিজেপির কোনও লোক নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের লোক যারা দুই নৌকায় পা দিয়ে ছিলেন যেই বিজেপি জিতছে সকালবেলায় উঠে শুরু হয়ে গেল তাদের তাণ্ডব। আমি দেখলাম এই লোকগুলো তৃণমূল কংগ্রেসের ফ্ল্যাগ নিয়ে আমাদের সঙ্গে ছিল”।

বলে রাখি, গত মাসে কোচবিহারে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেই সময় রাজবংশী কার্ড খেলারও চেষ্টা করেন। কিন্তু মাস ঘুরলেও অবস্থার যে কোনও উন্নতি হয়নি, তা তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যে স্পষ্ট। বেশ বোঝা যাচ্ছে কোচবিহারে তৃণমূলের অসুখ বেশ গভীর।

Back to top button
%d bloggers like this: