রাজ্য

বিজেপি নেতাকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর, মারের জেরে ফাটল পাকস্থলী, অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে, শোরগোল বাসন্তীতে

বিজেপি নেতাকে (BJP leader) বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূলের নেতাদের (TMC Leader) বিরুদ্ধে। বিজেপি নেতা বুকে-পেটে লাথি, ঘুষি মারার অভিযোগ উঠেছে। মারের চোটে বিজেপি নেতার পাকস্থলী ফেটে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল, বুধবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগণা (South 24 Paraganas) জেলার বাসন্তী ব্লকের কোস্টাল থানার অন্তর্গত পার্বতীপুর এলাকায়।

এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন ঝড়খালি ৪ নম্বর মণ্ডলের সহ সভাপতি তথা বিজেপি নেতা অমল মণ্ডল। অভিযোগ, বেধড়ক মারের পর অমলবাবুকে সেখানেই ফেলে রেখে চলে যায় তৃণমূলের ওই নেতারা। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে উদ্ধার করেন বিজেপি নেতাকে। সঙ্গে সঙ্গে ওঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। পরে সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতেই চিকিৎসকরা কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন ।

জানা গিয়েছে, অমল মণ্ডল ঝাড়খালি কোস্টাল থানার অন্তর্গত পার্বতীপুর এলাকার বাসিন্দা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এলাকার বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচার করেন তিনি। ভোটের ফলাফলের পর তাঁর বাড়িতে হামলা করে তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তাঁর বাড়িতে ঢুকে লুটপাট করা হয়। সমস্ত কিছু দখল করে নেয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। সেই থেকেই তিনি ঘরছাড়া। অন্য জায়গাতেই থাকতেন। তবে কিছুমাস পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হওয়ার খবর পেয়ে নিজের বাড়ি ফেরেন অমলবাবু।

জানা গিয়েছে, গতকাল, বুধবার রাতে বাইক নিয়ে ঝাড়খালি বাজার যাচ্ছিলেন ওই বিজেপি নেতা। সেই সময় স্থানীয় তৃণমূল নেতা বিধান বাইন ও ঝাড়খালি পঞ্চায়েত উপপ্রধান দিলীপ মণ্ডলের নেতৃত্বে প্রায় ৫০ জন তৃণমূল কর্মী হামলা করেন অমলবাবুর উপর। তাঁর বাইক কেড়ে নিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। বুকে-পেটে কিল-ঘুষি মারা হয়। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন অমল মণ্ডল।

পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাঁকে দেখে উদ্ধার করে প্রথমে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ওই বিজেপি নেতার অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে জয়নগর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি’র সাধারণ সম্পাদক তথা বিজেপি নেতা বিকাশ সরদার বলেন, “তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে আমাদের ঝড়খালি ৪ নম্বর মণ্ডলের সহ সভাপতি আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁকে মেরে পাকস্থলী ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন নোংরা রাজনীতির জন্য তৃণমূলকে ধিক্কার জানাচ্ছি। শুধু ধিক্কার নয়, ঘটনায় অভিযুক্তদের মূল মাথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা বিধান বাইন ও ঝড়খালি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দিলীপ মণ্ডলকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিও জানাচ্ছি”।

অন্যদিকে এই বিষয়ে বিধান বাইন জানান, “গতকাল আমাদের দলের মিটিং ছিল। আমরা সেখানেই ছিলাম। শুনেছি ওই বিজেপি নেতা বাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় একজনকে ধাক্কা দিয়েছিল। তারপরে তাঁদের মধ্যেই ঝামেলা বাঁধে ও মারামারি হয়। এর সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নয়। তৃণমূল এই ধরনের কাজ সমর্থন করে না”।

Back to top button
%d bloggers like this: