সকাল সকাল দুয়ারে হাজির ‘মা লক্ষ্মী’! ‘মা মমতা পাঠিয়েছেন আমাকে’, মমতার হয়ে ভোট চেয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন লক্ষ্মী

একুশের নির্বাচনে জিতে তৃতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের মহিলাদের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পে প্রতি মাসে রাজ্যের মহিলারা ৫০০ টাকা করে পান। এবার সেই প্রকল্পকে হাতিয়ার করেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল।
ঘটনাটি ঠিক কী?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেতানোর জন্য বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভোটের আবেদন করছেন স্বয়ং মা লক্ষ্মী। লাল বেনারসি, ভারী গয়না, মাথায় মুকুট ও হাতে লক্ষ্মীর ভাঁড় নিয়ে দুয়ারে এসে দাঁড়াচ্ছেন মা লক্ষ্মী। বাড়ি বাড়ি ঘুরে সকলকে আবেদন করছেন তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার জন্য। এমনই প্রচার দেখা গেল ঘাটাল ব্লকের বীরসিংহ গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধানগর গ্রামে।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই বাড়ির দুয়ারে মহিলারা দেখতে পাচ্ছেন মা লক্ষ্মীকে। সকলকে মা লক্ষ্মী আবার বলছেন, “আমাকে মা মমতা তোদের দুয়ারে পাঠিয়েছেন। এই যে আমার হাতের লক্ষ্মীর ভাঁড়- এটা কোনওদিন শেষ হবে না। তবে আমার ভাইদের জোড়াফুলে ভোটটা দিবি। মা আমাকে বলে পাঠিয়েছেন”।
সাধারণ মানুষের কী প্রতিক্রিয়া?
পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য এমন অভিনব প্রচার বেশ সাড়া ফেলেছে। মা লক্ষ্মীকে দেখতে ভিড় জমাচ্ছে কচিকাঁচারাও। ভোটারদের নজর কাটতে লক্ষ্মী সেজে প্রচার সারলেন তৃণমূল নেত্রী। সঙ্গে কন্যাশ্রী প্রাপক মেয়েরাও।
তৃণমূল নেতৃত্বের দাবী, মূলত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলায় যে উন্নয়ন হয়েছে, সেই বার্তাই আরও একবার দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁরা। তবে সেই প্রচারে অভিনবত্ব এনেছেন। ব্যালট বক্সে রায় যেদিকেই যাক না কেন, গ্রামের মহিলারাও বলছেন, সাত সকালে এভাবে বাড়ির দুয়ারে লক্ষ্মীর আগমনে তাদের বেশ ভালোই লাগছে।
শুধুমাত্র রাধানগর গ্রামই নয়, সিংহডাঙা, নবগ্রামের মতো নানান গ্রামেও এই একই ভাবে প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল। সঙ্গে রয়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের প্রার্থীরা। অনেকে আবার এও বলছেন, বিজেপি, সিপিএম বা কংগ্রেসকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে। মহিলা ভোটারদের টানতেই এমন অভিনব প্রচার ঘাসফুল শিবিরের।