রাজ্য

দণ্ডিকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলা বনধের ডাক, বনধ সফল করতে হাতে তীর-ধনুক নিয়ে রাস্তায় নামলেন আদিবাসীরা

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রায়শ্চিত্ত করাতে দণ্ডি কাটিয়ে তবে তৃণমূলে ফেরানো হয়েছিল তিন আদিবাসী মহিলাকে। সেই ঘটনা নিয়ে রাজ্যে চর্চা অব্যাহত। এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ, সোমবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাক দেওয়া হয় আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের তরফে। সকাল থেকেই দুই দিনাজপুর-সহ একাধিক জেলায় এই বনধ কার্যকর করতে তীর-ধনুক হাতে রাস্তায় নেমেছেন আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা।

সপ্তাহের প্রথম দিনেই এই বনধের জেরে দক্ষিণ দিনাজপুরের নানান প্রান্তে প্রভাব পড়েছে। ভোরবেলা কয়েকটি সরকারি বাস রাস্তায় বেরোলেও, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টে যায় চিত্র। বালুরঘাট মঙ্গলপুর এলাকায় আদিবাসীরা রাস্তা আটকে অবরোধ করেন।

এদিন কোনও ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহর জুড়ে পুলিশি নিরাপত্তা অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। সরকারি বা বেসরকারি গাড়ির দেখা তেমন নেই। দোকানপাটও অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কমই খুলেছে। আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের আন্দোলনকারীদের দাবী, দণ্ডি কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূলের প্রাক্তন মহিলা জেলা সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করতে হবে।

এদিন উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার কালাগছ ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক, রায়গঞ্জের শিলিগুড়ি মোড় অবরোধ করে চলছে আদিবাসীদের প্রতিবাদ। ঐতিহ্যের তীর-ধনুক হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমে অবরোধ করছেন তাঁরা। মালদহেও এমনই ছবির দেখা মিলেছে। আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের কর্মসূচির জেরে হবিবপুর, আলমপুর, আট মাইলের রাস্তা অবরোধ।  

এই বনধের খানিকটা প্রভাব পড়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়াতেও। সকাল থেকে পুরুলিয়ার আড়শা এলাকার কান্টাডি, সাতুড়ি, আহারার মোড় ও কাশীপুরে সড়ক অবরোধ করেন সেঙ্গেল অভিযানের সদস্যরা। হাতে পতাকা, ব্যানার নিয়ে নিজেদের দাবী জানাতে থাকেন তারা। প্রায় ৪৫ মিনিট পর বিক্ষোভ ওঠে।  

সপ্তাহের প্রথমদিনেই এমন অবরোধের জেরে বেশ সমস্যায় পড়তে হয় নিত্যযাত্রীদের। দক্ষিণ দিনাজপুরে সরকারি, বেসরকারি বাস, গাড়ি কিছুই চলছে না। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশি কড়াকড়ির জেরে বিক্ষোভ ধীরে ধীরে উঠছে বলেই জানা গিয়েছে।

Back to top button
%d bloggers like this: