রাজ্য

মধ্যযুগীয় বর্বরতা! মারধর করে মাথা কামিয়ে জোর করে দুই মহিলার সঙ্গে বিয়ে বিজেপি নেতার, চলল হৈ-হুল্লোড়, অভিযোগের তীর শাসকদলের দিকে

এ যেন মধ্যযুগীয় বর্বরতা। দু’জন মহিলার সঙ্গে জোর করে বিজেপি নেতার বিয়ে দিলেন গ্রামবাসীরা। এর পাশাপাশি তিনজনকেই বেধড়ক মারধর করল গ্রামবাসী। এই ঘটনায় অভিযোগের তীর গিয়েছে শাসকদলের দিকেই। তবে তৃণমূলের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুড়ি গ্রামে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই বিজেপি নেতার নাম মানস কামিলা। তিনি পেশায় একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। মানস কামিলা খেজুড়ি থানার অন্তর্গত বাঁশগড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বিজেপির কিষাণ মোর্চার সভাপতি। দেখালি বাজারে তাঁর সোনার দোকানটি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত গত ৩০শে জুন। অভিযোগ, সেদিন রাতে মানস কামিলা-সহ দুই মহিলাকে ন’গ্ন করে গ্রামবাসীরা তাদের উপর চড়াও হয়। এরপর চলে বেধড়ক মারধর। তাদের চুল কেটে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তিনজনকে বেধড়ক মারধর করার পর তাদের স্থানীয় একটি মন্দিরে গিয়ে বিজেপি নেতার সঙ্গে দুই মহিলারই বিয়ে দেওয়া হয়।

ওই ঘটনার পরদিন সকালে বিজেপি নেতা-সহ দুই মহিলাকে ভ্যান রিকশায় বসিয়ে ধুমধাম করে বাজি ফাটিয়ে, গান বাজিয়ে চলে হৈহুল্লোড়। ওইভাবেই তাদের গোটা গ্রাম ঘোরানো হয়। এর পাশাপাশি চলে মিষ্টি বিতরণ। এমন ঘটনা দেখে আঁতকে উঠেছেন অনেকেই।

এরপর গ্রামবাসীদের একাংশের চেষ্টায় বিজেপি নেতা মানস কামিলা ও ওই দুই মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। তাদের ভর্তি করা হয় স্থানীয় হাসপাতালে।

কিন্তু এমন ঘটনা কেন ঘটল? বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল সভাপতি নিখিল পয়রা বিজেপি নেতাকে শায়েস্তা করতে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। তবে তৃণমূলের পাল্টাও অভিযোগ, গ্রামবাসীরা বিজেপি নেতা ও ওই দুই মহিলাকে অসংলগ্ন অবস্থায় ধরে ফেলে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। বিজেপির অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির।

Back to top button
%d bloggers like this: