‘রাস্তাটা কবে হবে, ভোটে দাঁড়ানোর পর থেকেই বলছি, শুনছেনই না আপনি’, ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ কর্মসূচিতে গিয়ে আমজনতার ক্ষোভের মুখে শতাব্দী

পঞ্চায়েত নির্বাচনকে (Panchayet Election) পাখির চোখ করে ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ নামের নয়া কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তৃণমূল (TMC)। আর সেই কর্মসূচির প্রচারে নানান তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা যাচ্ছেন নানান জেলায়। সকলের অভাব-অভিযোগ ধৈর্য ধরে শুনছেন তারা। আজ, শুক্রবার রামপুরহাটে এই কর্মসূচির প্রচারে যান সাংসদ শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy)। তাঁকে সামনে পেয়েই আবাস যোজনা থেকে শুরু করে বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা, নানান প্রকল্প নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেয় আমজনতা।
এদিন রামপুরহাটের একটি গ্রামে এক মধ্য বয়স্ক ভদ্রলোক মাথায় ফেজ টুপি পরে ক্ষোভ জানান শতাব্দীর কাছে। সাংসদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এই রাস্তাটা আপনি দেখুন। যবে থেকে আপনি দাঁড়িয়েছেন আপনাকে ভোট দিচ্ছি। যতবার আপনি ভোট চাইতে এসেছেন ততবার বলেছি। আপনি রাস্তাটা দেখছেন না”।
স্থানীয় ওই ব্যক্তি যখন সাংসদের উদ্দেশে চড়া সুরে এই ক্ষোভ জানাচ্ছেন, সেই সময় ওই এলাকার এক নেতা তাঁকে থামিয়ে দিতে যান। পাল্টা ফুঁসে ওঠে ওই মাঝারি নেতার উদ্দেশে ভদ্রলোককে বলেন, “আপনি থামুন তো। আমি যা বলার দিদিকে বলছি”। বলে রাখা ভালো, শতাব্দী রায় ২০০৯ সাল থেকে বোলপুরের সাংসদ।
এদিন সকলের অভিযোগ খুব মন দিয়ে শোনেন শতাব্দী। তিনি জানান বেশ কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। সেই অভিযোগ দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন সাংসদ।
তৃণমূলের এই কর্মসূচি যে সাংগঠনিক ক্ষেত্রকে মজবুত করার জন্য, তা বলাই বাহুল্য। নানান এলাকার মানুষ তাদের সমস্যার কথা তৃণমূল জনপ্রতিনিধিদের জানাচ্ছেন আর জনপ্রতিনিধিরা তা শুনে সমাধানের আশ্বাস দিচ্ছেন।
তৃণমূলের এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হল নানান সরকারি সুযোগ-সুবিধাগুলি সকলে ঠিকঠাক পাচ্ছেন কী না বা কারাই বা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত, তা চিহ্নিত করা। যারা এইও সুযোগ পাচ্ছেন না, তাদের কাছে তা পৌঁছে দেওয়াই লক্ষ্য ঘাসফুল শিবিরের। সংগঠনকে হাতিয়ার করেই কর্মসূচিকে মানুষের ‘দুয়ারে’ পৌঁছে দিতে চায় তৃণমূল।