ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, পুজোর সময় কী তবে ভাসবে শহর? ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কী রয়েছে? কী জানাল হাওয়া অফিস

পুজোর আগেই ফের আকাশে ঘনিয়েছে কালো মেঘ। আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকেই কয়েক জায়গায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। কয়েক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা তেমন কী রয়েছে? এখন এই প্রশ্নই চাগাড় দিয়েছে কুমোরটুলির শিল্পী থেকে শুরু করে নানান বিক্রেতাদের মধ্যে।

সকলেই এখন আবহাওয়া দফতরের দিকে তাকিয়ে যে তাদের তরফে কী পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে যে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ ওড়িশার উপর একটি নিম্নচাপ রয়েছে। সেই নিম্নচাপ ধীরে ধীরে ছত্রিশগড়ের দিকে সরে যাচ্ছে। এর ফলে আপাতত বাংলায় ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা তেমন নেই।

গত সপ্তাহেও কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যে বৃষ্টি হয়েছিল। নানান জায়গাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়েছিল। গত শনি ও রবিবার আবহাওয়ার উন্নতি ঘটে। হাওয়া অফিসের তরফে আগেও জানানো হয়েছিল যে এই সপ্তাহেও বৃষ্টি হতে পারে। আজ সকাল থেকেই কলকাতার আকাশের মুখ ভার। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। আজ সকালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৯৩ শতাংশ।

দক্ষিণবঙ্গের নানান জায়গাতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণায় বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা বলে জানা গিয়েছে। আপাতত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে তুলনামূলকভাবে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে খবর।

এদিকে ভারত থেকে বর্ষার বিদায় পর্ব শুরু হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। রাজস্থান, কচ্ছ, পাঞ্জাব, চণ্ডীগড়, হরিয়ানা থেকে আগামী দু-দিনের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু সরে যেতে পারে বলে জানা গিয়েছে। আগামী ৪-৫ দিন শুষ্ক আবহাওয়া অর্থাৎ বৃষ্টি না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিম রাজস্থান, চণ্ডীগড়, পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও রাজধানী দিল্লিতে। উত্তর-পশ্চিম ভারতে বর্ষার বিদায় পর্বের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে খবর।