রাজ্য

হলদিয়া থেকেই শুরু বিজেপির বাংলা জয়ের অভিযান, ভোটের দামামা বাজিয়ে প্রচার শুরু করতেই আজ রাজ্যে মোদী

রাজ্যে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট যে কোনও সময় ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। এর আগেই বাংলা দখলের জন্য ঠিক কোন পথ ধরে বিজেপি আগামী নির্বাচনের জন্য এগোবে, তা ঠিক করতেই মূলত আজ রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যতই বিধানসভা নির্বাচন হোক না কেন, রাজ্যে বিজেপির মুখ যে মোদীই, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

আজ, রবিবার হলদিয়া হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে মোদী ঠিক কী বার্তা দেন, সেদিকেই বিজেপির সঙ্গে সঙ্গে তাকিয়ে রাজ্যের শাসকদলও। এদিন হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে রয়েছে মোদীর রাজনৈতিক অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শনিবার পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, তিনি এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না বলে জানা গিয়েছে।

আজ যে জায়গা থেকে মোদী ভোটের দামামা বাজাতে চলেছেন, তার বিশেষ গুরুত্ব হল নন্দীগ্রামের জন্য। আর নন্দীগ্রামের মূল আকর্ষণ অবশ্যই শুভেন্দু অধিকারী। এদিন হলদিয়ার সভায় মোদীর সভামঞ্চে দেখা মিলবে তাঁরও। এদিনের অনুষ্ঠানস্থল থেকে তিনটি বড় প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মোদী। এই প্রকল্প হলদিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থাকে কিছুটা হলেও পালটাবে। এদিন অনুষ্ঠানে অন্য একটি বড় প্রকল্পের শিলান্যাসও করবেন মোদী, এমনটাই জানা গিয়েছে। এদিনের এই সভায় আমন্ত্রিত রয়েছেন দিব্যেন্দু অধিকারীও। এছাড়াও থাকবেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও অন্যান্য নেতা-নেত্রীরাও।

তবে এদিন সভায় কে বে কারা উপস্থিত থাকবেন, এর চেয়েও বড় বিষয় হল, এদিন সভামঞ্চ থেকে মোদী ঠিক কী বার্তা দেবেন। রাজ্যের শাসকদলকে তিনি ঠিক কতটা আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে বেঁধেন, তাই-ই দেখার পালা। এদিনের সভার জন্য মোদীর জন্য একটি খসরা তৈরি করা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে। এতে রাজ্যের কিছু প্রকল্পের অনিয়ম ও ব্যর্থতা তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও, বিগত কয়েক বছরে হলদিয়াতে কোনও নতুন প্রকল্প আসেনি, সেই নিয়েও লেখা রয়েছে খসরাতে। শাসকদল থেকে আরও কে বা কারা গেরুয়া শিবিরে আসতে পারেন, তারও একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তাছাড়া, হলদিয়ায় স্থানীয়দের বেকারত্ব ও শিল্পায়নে রাজ্যের ব্যর্থতার দিকটিও এদিন সভায় তুলে ধরতে পারেন মোদী, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।

Back to top button
%d bloggers like this: