ঠিক যেন সিনেমা! মৃত্যু হয়েছিল ৬ মাস আগে, সেই ব্যক্তিই অন্য শহরে বসে খাচ্ছেন মোমো, এমন অসম্ভব কীভাবে সম্ভব হল?

দীর্ঘ মাস ধরেই তিনি নিরুদ্দেশ ছিলেন। তাঁকে ফিরে পাওয়ার সব আশাই ছেড়ে দিয়েছিল তাঁর পরিবার। ভেবেই নেওয়া হয়েছিল যে তিনি মারা গিয়েছেন। কিন্তু সকলকে রীতিমতো চমকে গিয়ে ফিরে এলেন সেই ব্যক্তি। এমনটা কীভাবে সম্ভব হল?
এমন অদ্ভুত কাণ্ডটি ঘটেছে নয়ডায়। জানা গিয়েছে, বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা নিশান্ত কুমার গত জানুয়ারি মাসে তাঁর শ্বশুরবাড়ির এক বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। তারপর আর ফেরেন নি তিনি। তাঁকে খুঁজে না পেয়ে নিশান্তের শ্যালক রবিশঙ্কর সিং সুলতানগঞ্জ থানায় নিরুদ্দেশ হওয়ার ডায়েরিও করেছিলেন।
নিশান্তের বাবা আবার পাল্টা অভিযোগ করে বলেছিলেন যে নিশান্তের শ্বশুরবাড়ির লোকজনই তাঁর ছেলেকে অপহরণ করে খু’ন করেছে। এই অভিযোগের জেরে দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক চরমে ওঠে।
নিশান্তের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অভিযোগ, নিশান্ত নিরুদ্দেশ হয়ার পর থেকেই তাঁকে খু’নের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয় তাদের সকলকে। তাদের উপর নানান অত্যাচারও করেন নিশান্তের বাবা ও পরিবারের লোকজনরা, এমনটাই অভিযোগ করেন নিশান্তের শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
খু’নের অভিযোগ ওঠায় মানসিক অবসাদে মৃত্যুও হয় তাদের পরিবারের একজনের, এমনও অভিযোগ ওঠে। কিন্তু দুই পরিবারের কেউ জানতেও পারেন নি, যাকে ঘিরে এমন অভিযোগ, তিনি অন্য কোথাও দিন কাটাচ্ছেন।
কীভাবে খুঁজে পাওয়া গেল নিশান্তকে?
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি নয়ডায় এক মোমোর দোকানে খেতে গিয়েছিলেন নিশান্তের ওই শ্যালক রবিশঙ্কর। সেখানে তাঁর সামনেই এক ভিখারি বারবার দোকানির কাছে মোমো খেতে চাইছিলেন। দোকানি দূর-ছাই করে তাড়িয়ে দিচ্ছিলেন তাঁকে। ভিখারিকে দেখে বেশ মায়া হয় রবিশঙ্করের। তিনি দোকানিকে বলেন যে ওই ভিখারির মোমোর টাকা তিনি দিয়ে দেবেন।
ওই ভিখারিকে নাম জিজ্ঞেস করেন রবিশঙ্কর। আর নাম শুনেই স্তম্ভিত হয়ে যান। নাম-পরিচয় সব মিলে যায়। রবিশঙ্কর বুঝতে পারেন, তিনিই নিশান্ত। তবে কীভাবে বিহার থেকে তিনি নয়ডা পৌঁছলেন, তা এখনও জানা যায়নি। রবিশঙ্করের আশা, এবার খু’নের অভিযোগ থেকে মুক্ত হয়ে তাঁর পরিবার নিশ্চয় সুবিচার পাবে।