অফবিট

ভারতের এই মন্দির আজও সম্প্রীতির নজির রাখছে, জেনে নিন সেই মন্দিরের বিশেষত্ব

আপনাদের ভারতের এমন এক মন্দিরের গল্প বলব যা সম্প্রীতির কথা বলে। এই মন্দিরে যে কোনও ধর্মের মানুষ, যে কোনও জাতের মানুষ প্রবেশ করতে পারে। শুধু প্রবেশ নয় সেখানে গিয়ে প্রার্থনা করে প্রসাদও নিতে পারেন।

এই মন্দিরটি তামিলনাড়ুর ভিল্লুপুরম জেলার ছিন্নাবাবু গ্রামে রয়েছে। এই মন্দির আদতে বড়ে সাহেবের সমাধি। একটি সমাধিকে কেন্দ্র করে কী ভাবে হিন্দু মন্দির গড়ে উঠলো? স্থানীয়দের বিশ্বাস, মুসলিম ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বড়ে সাহেব। তবে তিনি পরিচিত ছিলেন ভগবান অরুণাচল তথা শিবের ভক্ত হিসেবে। কথিত আছে, বড়ে সাহেবের ভক্তিতে তুষ্ট হয়ে তাঁকে দর্শন পর্যন্ত দিয়েছিলেন মহাদেব। এরপর বড়ে সাহেব অর্জন করেছিবেন আশ্চর্য কবিরাজি ক্ষমতা। গাছের নিচে বসে ভক্তদের রোগব্যধি নিরাময় করতেন তিনি। আর যা নাকি ছিল অব্যর্থ। প্রায় ১৪৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন বড়ে সাহেব, তার পরে সমাধিস্থ হন। আর সেই স্থানেই গড়ে ওঠে তাঁর মন্দির।

বড়ে সাহেব যখন বেঁচে ছিলেন তখন ভক্তদের ধর্ম নিয়ে একেবারেই ভাবতেন না। সব ধর্মের হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ নির্বিশেষে মানুষের রোগের নিরাময় করেছেন তিনি। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন ওই স্থানেই তিনি ফিরে এসেছেন। তাই ওই সমাধির পাশেই রয়েছে শিবের একটি মন্দির।

মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয় মন্দিরে। সেখানে দলে দলে যোগ দেন অজস্র ধর্মের মানুষ।

Back to top button
%d bloggers like this: