অফবিট

চিকেন প্যাটিস ভাঙতেই আঁতকে উঠলেন মহিলা, খাবারে ভরে গিয়েছে ফাংগাস, বড়সড় অভিযোগ KREAMZ-এর বিরুদ্ধে

নানান ধরণের কনফেশনারি খাবারের কথা মনে পড়তেই আমাদের মনে প্রথমেই বেশ কয়েকটি নাম আসে। আর সেসব দোকানের খাবার যে আমরা বেশ উপভোগও করি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষ করে ছোটোরা এই ধরণের কনফেকশনারির খাবার খুব ভালোবাসে। সে বার্গারই হোক বা প্যাটিস, পিৎজা, পেস্ট্রি ও আরও নানান খাবার। কিন্তু যে দোকান থেকে ভরসা করে খাবার কেনা হচ্ছে, সেই খাবারই যদি বিষের সমান হয়, তাহলে?

KREAMZ, কনফেকশনারি খাবারের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ব্র্যান্ড। এই দোকানের কেক, পেস্ট্রি থেকে শুরু করে নানান ধরণের স্ন্যাক্স সকলের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। বেশ না রয়েছে বাজারে KREAMZ-এর। কিন্তু এবার এই KREAMZ-এর বিরুদ্ধেই উঠল এক গুরুতর অভিযোগ। আর তা জানার পর এই ব্র্যান্ডকে রীতিমতো ধুয়ে দিল নেটিজেনরা।

এক মহিলা সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। সেই পোস্ট অনুযায়ী, তিনি তাঁর মেয়েকে নিয়ে খড়দহের একটি KREAMZ-এর দোকানে যান। সেখান থেকে খাবার কিনে সেই খাবার ভেঙে খাওয়ার সময় দেখা যায় খাবারের ভেতর ফাংগাস ভর্তি। আর সবথেকে আশ্চর্যের বিষয়, এই কথা দোকানে জানালে মহিলাকে দোকানের মালিক বলেন যে খাবারের দাম দিতে হবে না তাঁকে।

খাবারের দাম না দিলেই কী সব মিটে সত্যিই যায়? ওই বিষ খাবার খেয়ে যদি মহিলার ছোটো মেয়ের কোনও সমস্যা হয়, তাহলে এর দায় কে নেবে? এমন প্রশ্নও তুলেছেন ওই মহিলা।

ওই মহিলা ওই ফাংগাস ভর্তি প্যাটিসের ছবি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন, “আজ খড়দহ KREAMZ থেকে মেয়েকে chicken meyo net কিনে দিয়েছিলাম। ও খুব আস্তে আস্তে খাচ্ছিলো বলে আমি খাওয়াতে যাই। গরম থাকার কারণে মাঝখান থেকে ছিড়তেই দেখি এই অবস্থা পুরো ফাংগাসে ভরে রয়েছে। আমার মেয়ে কিছুটা খেয়েও নিয়েছে জানিনা কি হবে। একটি ভাল দোকানের যদি এরকম খাওয়ার কোয়ালিটি হয় তাহলে বাচ্চাদের ভরসা করে কোথায় খাওয়াবো। আমি দোকানের মালিক কে বলাতে উনি বলছেন pay করতে হবে না। পয়সা না নিলেই কি এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আজ ওই প্যাটিস খেয়ে আমার মেয়ে যদি অসুস্থ হয় তার দায় কে নেবে”।

তাঁর এই পোস্ট বেশ ভাইরাল হয় সঙ্গে সঙ্গে। আর দেখা যায় কমেন্ট বক্সে নানান মানুষ এমন অনেক অভিযোগ করেছেন। তারাও যে এই একই ধরণের ঘটনার শিকার, তাও জানিয়েছেন তারা। শুধু KREAMZ-ই নয়, অন্যান্য কনফেশনারি দোকানের বিরুদ্ধেও এমন অভিযোগ তুলেছেন অনেক নেটিজেনরা। KREAMZ-এর এই ঘটনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার দাবী তোলা হয়েছে। এর পাশাপাশি তীব্র কটাক্ষ করা হয়েছে KREAMZ-কে।

Back to top button
%d bloggers like this: