জ্যোতিষশাস্ত্র
ভগবানকে ভোগ নিবেদনের সময় এই কাজগুলি করেন? মস্ত বড় ভুল করছেন, অসন্তুষ্ট হতে পারেন ঈশ্বর, নেমে আসতে পারে বিপদ

ঈশ্বর খুব অল্পেই সন্তুষ্ট হন। তাঁকে তুষ্ট করার জন্য সবসময় যে বড় করেই কিছু আয়োজন করতে হবে, তা একেবারেই নয়। পুজো করার যেমন নিয়ম রয়েছে, তেমনই আবার ভগবানকে ভোগ নিবেদন করারও বেশ কিছু রীতি রয়েছে। সেই রীতি মেনে ভোগ নিবেদন না করতে পারলে ঈশ্বর রুষ্ট হন। শাস্ত্রেও ঈশ্বরকে ভোগ নিবেদন করার কিছু রীতি বলা রয়েছে।
দেখে নেওয়া যাক ভগবানকে ভোগ নিবেদন করার কিছু নিয়ম-
- ঠাকুরের ভোগের অংশ কখনও আগে সরিয়ে রাখতে নেই, অনেকেই ভোগ থেকে কিছুটা সরিয়ে রেখে তার পর ভগবানের সামনে দেয়। কিন্তু এমনটা করা একেবারেই উচিত নয়। ভোগ যতটা তৈরি করা হবে, সবটাই ঠাকুরের সামনে দিতে হবে। সেই বুঝে ভোগ তৈরি করতে হবে।
- ভোগ তৈরি করার সময়ে অবশ্যই একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে, ভোগে কোনও প্রকার তেল ব্যবহার করা যাবে না। ঈশ্বরের ভোগ সব সময়ে ঘি দিয়ে তৈরি করতে হবে।
- ভোগ ঠাকুরের সামনে দেওয়ার পর কিছুক্ষণ অবশ্যই ঘর একটু ফাঁকা করে দিয়ে, সকলে বাইরে চলে যেতে হয়। তার পর ভোগ প্রনাম করে ঠাকুরের সামনে থেকে সরিয়ে নিতে হয়।
- ভোগের রান্নায় কখনও লঙ্কা ব্যবহার করতে নেই। ভোগের রান্না করতে হবে সব সময়ে ঝাল ছাড়া। ঝাল দেওয়া ভোগ ঈশ্বরের সামনে নিবেদন করা যাবে না।
- ভোগ প্রসাদ হিসাবে কখনও নিজে প্রথমে গ্রহণ করবেন না। ভোগের প্রথম অংশ প্রথমে গরু বা কোনও পাখিকে খাওয়ান। তার পর নিজে গ্রহণ করুন
- কোন দেবতার ভোগে তুলসী দেওয়া যায় এবং কোন দেবতার ভোগে তুলসী দেওয়া যায় না, ভালো করে জেনে তবেই ভোগ নিবেদন করুন।