রাখি ম্যাম প্রথম থেকেই মিঠাই এর ভাগ্যে লিখেছে দুঃখ! এতদিন পরে ফিরেও সেই নিজের বরকে অন্য মেয়ের সাথে দেখে কষ্ট পাচ্ছে সে, তার কষ্টে কাতর ভক্তরা

সৌমিতৃষা কুণ্ডু (Soumitrisha Kundoo), বাংলা সিরিয়ালের হেন কোনো দর্শক নেই যিনি এই নামটার সঙ্গে পরিচিত নন। ছোটপর্দার অধিকাংশ অভিনেতা অভিনেত্রী অনস্ক্রিন চরিত্রের নামে পরিচিত হলেও সৌমিতৃষা স্বতন্ত্র এক পরিচয় তৈরি করেছেন। ইনস্টাগ্রামে তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা ৭ লাখেরও বেশি।
টেলিপাড়ার এই মুহূর্তে সবথেকে জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে ফলোয়ারের নিরিখে এগিয়ে রয়েছেন সৌমিতৃষাই। ‘মিঠাই রানী’ বলতে অজ্ঞান দর্শকরা। সাবলীল অভিনয় আর মিষ্টি ব্যবহার দিয়ে সকলের মন জয় করে নিয়েছেন সৌমিতৃষা। মোটে ২২ বছর বয়স তাঁর। এখনি আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা। আগামীতে আরো লম্বা সফর বাকি তাঁর।
এই দিনের পর্বে মিঠাই কে আবার সেই আগের মতন করে ফিরে পেল সিদ্ধার্থ। ধীরে ধীরে সব মনে পড়ছে মিঠাইয়ের। তবে স্মৃতি হারিয়ে যাওয়ার পর থেকে এই প্রথমবার সিদ্ধার্থকে সেই আগের মতন উচ্ছে বাবু বলে ডাকল মিঠাই। দুজনের অভিব্যক্তি ছিল অসাধারণ। সিদ্ধার্তকে দেখেই মনে হচ্ছিল সে মানুষিক এবং শারীরিক দুইভাবেই বিধ্বস্ত। যা তাদের অভিনয় কে আরো অনেক বেশি ফুটিয়ে তুলেছে। মায়াভরা অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল মিঠাইয়ের ডাকে।
ধীরে ধীরে সবকিছু মনে করতে পারছে মিঠাই। একবার মিঠাই নিজে তোরশার জামায় নকল আরশোলা ছেড়ে দিয়েছিল, আর এবার তোরসাও সঙ্গীতার ওপর সেই একই টোটকা প্রয়োগ করল। আর এই ঘটনা জানতে পেরে কিছুটা স্মৃতিচারণ করতে পারছে মিঠাই। মিঠাইয়ের স্মৃতি ফিরে আসলে ওদের সবথেকে বেশি খুশি হবে দর্শকরা। তবে মিঠাইয়ের কপালে সুখ বেশিক্ষণ সয় না টা আমরা আগেই দেখেছি। একটা ঝড় সামলে উঠতে না উঠতেই নতুন বিপদ এসে হাজির হয়।
এদিন মিঠির মুখটা সত্যি দেখার মতন ছিল। মিঠিকে দেখে বড্ড মায়া হচ্ছিলো দর্শকদের। অসহায় মুখ করে দাঁড়িয়ে দেখছিল নিজের স্বামীর সাথে অন্য একটা মেয়ের এরকম ঘনিষ্ঠ কথোপকথন। কিছু মনে না থাকলেও মিঠাই এখন জানে সিদ্ধার্থ তার বড়। তার সিড এর সাথে মিঠির এমন কথা বার্তা সহ্য করতে পারছিল না সে। ওর যায়গায় যে কেউ হলেও এই ভাবেই কষ্ট পেতো। সে যতই মিঠি উপকার করে থাকুক না কেন। দর্শকরা চাইছেন এর পর মিঠাই বাড়ি ছেড়ে চলে যাক। সিড মিঠি ও বুঝুক যে মিঠাই এরো অনুভূতি আছে ওরো খারাপ লাগা আছে সে যতই স্মৃতি না থাকুক।