উৎসব

আগামী শুক্রবার রথযাত্রা, ১২ দিনের এই অনুষ্ঠানে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে কী কী বিশেষ আয়োজন রয়েছে, জেনে নিন

করোনা অতিমারি কাটিয়ে দু’বছর পর এবার ধূমধাম করে পুরীর মন্দিরে পালন হবে রথযাত্রা উৎসব। ১২ দিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে রয়েছে একাধিক রীতিনীতি। সমস্ত নিয়ম মেনে আয়োজন করা হয়েছে এক একটি অনুষ্ঠানের। রথযাত্রার দিন পুরীর মন্দির থেকে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার গুণ্ডিচার মন্দিরে  যাত্রা থেকে শুরু করে সান্ধ্য দর্শন, কোন কোন দিন, কী কী অনুষ্ঠান পালিত হবে, দেখে নিন এক নজরে।

  • ১লা জুলাই, শুক্রবার রথযাত্রার দিন পুরীর মন্দির থেকে বেরোবে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার রথ। এদিন তারা যাবেন মাসির বাড়ি অর্থাৎ গুণ্ডিচা মন্দিরে।
  • ১লা জুলাই থেকে ৫ই জুলাই পর্যন্ত প্রভু জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা গুণ্ডিচা মন্দিরেই থাকবেন।
  • এরপর ৫ই জুলাই থেকে ৮ই জুলাই পর্যন্ত হবে সান্ধ্য দর্শন। এই তিনদিন প্রভু জগন্নাথের বিশেষ দর্শন পাবেন ভক্তরা। ১০ বছর ধরে শ্রীহরির দর্শন পাওয়া আর এই কয়েকদিন প্রভু জগন্নাথ দর্শন পাওয়া সমতুল্য বলে মনে করা হয়। এই তিনদিন অগনিত পুণ্যার্থীর ভিড় থাকে পুরীতে।
  • এরপরই ৯ই জুলাই হবে বহুদা যাত্রা। ১২ দিন ব্যাপী রথযাত্রা উৎসবের নবম দিনে প্রভু জগন্নাথ বলরাম ও সুভদ্রাকে নিয়ে ফিরে আসবেন পুরীর মন্দিরে।
  • এর পরদিন অর্থাৎ ১০ই জুলাই, অনুষ্ঠানের দশম দিনে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে দেখা যাবে রাজবেশে। এদিন পুন্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয় পুরীর মন্দিরের দরজা।
  • এরপর ১২ই জুলাই অর্থাৎ অনুষ্ঠানের শেষদিন হয় আধারপান। আস্বাদ শুক্লা দ্বাদশীর দিন একটি বিশেষ ধরণের পানীয় নিবেদন করা হয় জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে। দুধ, চিজ, চিনি, ও নানান ড্রাই ফুট মিশিয়ে এই পানীয় তৈরি করা হয়। এরপরই অনুষ্ঠিত হয় নীলাদ্রি বিজে।

১লা জুলাই রথযাত্রা উপলক্ষ্যে পুরীতে বেশ আঁটসাঁট নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা রয়েছে। নানান বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য। করোনার কোনও উপসর্গ থাকলে মন্দির প্রাঙ্গণে প্রবেশ করা যাবে না। মাস্ক ছাড়া কাউকে দেখা গেলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

Back to top button
%d bloggers like this: